প্রিয়জন হারানোর বেদনা

0
সৈয়দ আবদাল আহমদ
পৃথিবীব্যাপী চলমান করোনা মহামারী আরো জেঁকে বসেছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। করোনাভাইরাসে বিশ্বে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ছয় কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে করোনার মৃত্যু ১৪ লাখ থেকে ১৫ লাখে ছুঁই ছুঁই। সাড়ে চার কোটি রোগী সুস্থ হলেও তাদের অনেকেই করোনা-পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। কারো ফুসফুসের সংক্রমণ, কারো হৃদরোগজনিত আবার কেউবা ডায়াবেটিস, কিডনি ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। জাপানে করোনাজনিত মানসিক রোগের কারণে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন। অর্থাৎ করোনা মহামারী মানুষের স্বাভাবিক জীবন এলোমেলো করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস বিশ্বের শক্তিধর দেশ আমেরিকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। এ মহামারীতে আমেরিকাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। আমেরিকায় করোনায় মৃত্যু পৌনে তিন লাখের কাছাকাছি। প্রতিদিন গড়ে দুই লাখ করে করোনা সংক্রমিত নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। তেমনি সেখানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি করোনায় মৃত্যু রেকর্ড করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ৮০ হাজারের বেশি করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এর আগে একক কোনো রোগে যুক্তরাষ্ট্রে এত রোগী হাসপাতালে ভর্তির নজির নেই। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এক জরিপে বলা হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে দুই কোটি।
আমেরিকার পরই করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় দেশ হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী ভারত। দেশটিতে করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৪ লাখ। কয়েক দিনের মধ্যে তা এক কোটি ছাড়াবে। করোনায় এখন পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৭ হাজারের বেশি। করোনায় সংক্রমণের দিক দিয়ে তৃতীয় দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। রোগীর সংখ্যা ৬২ লাখ ছাড়িয়েছে। অবশ্য মৃত্যুর দিক দিয়ে ব্রাজিল ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ব্রাজিলে এক লাখ ৭২ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণে চতুর্থ স্থানে আছে ফ্রান্স। এরপর পর্যায়ক্রমে রাশিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার স্থান। আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল- বাংলাদেশে করোনার শীতকালীন ঢেউ আসবে। বিশেষজ্ঞরা একে ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনার এই ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। তবে রাজধানী ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই, আদৌ করোনা মহামারী বাংলাদেশে আছে কি না। দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নেই বললেই চলে। তার পরও যারা টেস্ট করাচ্ছেন, দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। ১২ দিন ধরে রোগী বৃদ্ধির সাথে সাথে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। এ সময়ে ৩৫০ জন করোনায় মারা গেছেন; এর আগের ১২ দিনে যার সংখ্যা ছিল ২১১ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর করোনায় দেশে মৃত্যু ছাড়িয়েছে সাড়ে ছয় হাজার। রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট, হাটবাজার, মার্কেট-বিপণিবিতান ও অফিস-আদালতে মানুষের চলাফেরা লক্ষ করলে মনে হবে, তারা করোনাভাইরাসকে অবজ্ঞা করেই চলেছেন। অথচ হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ ভর্তি হচ্ছেন এবং মৃত্যুরও মিছিল চলছে। করোনা মহামারী সম্পর্কে মানুষকে যেভাবে সচেতন করা প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়নি। ফলে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের তেমন ভয় নেই। অথচ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে এবং ক্রমেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং যথেচ্ছভাবে চলাচল করতে থাকলে মানুষকে এর চরম খেসারত দিতে হতে পারে। তারা বলেছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার সংক্রমণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মানুষকে বাঁচাতে একটি কর্মপরিকল্পনা সরকারের কাছে তুলে ধরেছে। তারা সরকারের কাছে ১৩ দফা সুপারিশ জমা দিয়েছেন। এসব সুপারিশে সরকারের সব সংস্থাকে যুক্ত করে করোনা মোকাবেলার কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিশেষ করে জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারকে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত করা, আইসোলেশন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, কোয়ারেন্টিন জোরদার করার কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা বা ভ্যাকসিন পাওয়া এখনো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। টিকা পাওয়ার আগ পর্যন্ত করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া উপায় নেই। বিশিষ্ট বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রাশেদুল হাসান এ সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আপাতত মাস্কই আমাদের টিকা। মাস্ক পড়লে হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনা ছড়ানো ৯৫ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব। তাই টিকা কবে আসবে, তার জন্য বসে না থেকে করোনার সুরক্ষা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাই জরুরি। এ জন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে।’ এত দিন সরকার কঠোর না হওয়ার কারণেই মানুষও করোনাকে গুরুত্ব দেয়নি কিংবা দিচ্ছে না। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে যদি তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তবে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হবে। এ কারণে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণের পরামর্শ দিয়েছেন। এটা ভালো পরামর্শ। এক দিকে সরকারকে মাস্ক বিতরণে এগিয়ে আসতে হবে, অন্য দিকে এমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে মানুষ ভয় পায়।
আশার কথা, করোনায় বেশ কয়েকটি টিকা বা ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফাইজার, মডার্না ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন, চীনের সিনোভ্যাক টিকা এবং রাশিয়ার স্পুটনিক টিকা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার সাথে জার্মানির বায়োএনটেকের টিকাই ব্যবহারের জন্য এগিয়ে আছে। তবে এই টিকা বাংলাদেশের মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রযুক্তিগতভাবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার সম্ভব নয়। এই টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষিত করতে হয়। এটা এ দেশে সম্ভব নয়। অবশ্য ফাইজারের টিকা শুধু বাংলাদেশই নয়, আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশ ব্যবহার করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে আশা করা হচ্ছে, এ টিকাদান শুরু করা হবে। প্রথমে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেবেন। এরপর ৬৫ বছরের বেশি বয়সী যারা হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন তাদের এ টিকা দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ছাড়পত্র দেয়ার পর ফাইজার উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরিবহনও শুরু হয়ে গেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স পরিবহন শুরু করেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে শেষ মুহূর্তে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে যদিও এই টিকাই বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা। অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম কিছু প্রশ্ন তুলেছে। পরীক্ষার শেষ ধাপে এ টিকা কার্যকারিতা দেখিয়েছে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, ফাইজার এবং তাদের জার্মান সহযোগী বায়োএনটেকের টিকার চেয়ে কম দামে পাওয়ার পাশাপাশি সহজে সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পরীক্ষার তিন ধরনের ফল জানায়। টিকার মোট কার্যকারিতা হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বনিম্ন কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। কারণ টিকা পরীক্ষার সময় ডোজ ‘ভুল করে’ ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়নমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, ‘অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে কারো দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আমরা টিকা সম্পর্কিত তথ্যের স্বাধীন মূল্যায়ন করতে বলেছি।’ অর্থাৎ সঠিকভাবে টিকা আসতে হয়তো কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। বাংলাদেশ করোনার টিকাটি পাবে ভারত থেকে দেশীয় কোম্পানি বেক্সিমকোর মাধ্যমে। ন্যূনতম ছয় মাসের আগে এ টিকা হয়তো পাওয়া যাবে না।
প্রিয়জন হারানোর বেদনা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর সাথে সাথে দু’জন সাংবাদিক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। একজন দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান এবং অন্যজন আমার দেশ, দিনকাল ও নয়া দিগন্তের সাংবাদিক এবং আমার সহকর্মী হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী। এসব পত্রিকায় বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন হুমায়ুন সাদেক। দু’জনই অত্যন্ত মেধাবী ও সৃজনশীল সাংবাদিক এবং আমার নিজের খুব কাছের মানুষ। তাদের এভাবে চলে যাওয়া আমাকে এবং গোটা সাংবাদিক মহলকেই বেদনাবিধুর করেছে। সাংবাদিক মুনীরুজ্জামান আমার অগ্রজ এবং প্রিয় মানুষ। একই জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস পাড়ের মানুষ আমরা। তার ছিল বহুমুখী প্রতিভা। প্রগতিশীল রাজনীতি করেছেন। একাত্তরে করেছেন মুক্তিযুদ্ধ। একজন খ্যাতিমান কলাম লেখক ছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে টিভির টকশোতে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। সত্য কথনে তার টকশো ছিল খুবই জনপ্রিয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা এক সাথে যোগ দিয়েছি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সবসময় তার ভোট পেয়েছি। ভোট দিয়ে যাওয়ার সময় মুনীর ভাই বলে যেতেন, আবদাল ভোট দিয়েছি। হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী দিনকাল ও আমার দেশ পত্রিকায় সহকর্মী ছিলেন আমার। দৈনিক আমার দেশ অফিসে আমরা পাশাপাশি বসতাম। অত্যন্ত মিষ্টভাষী, সরলপ্রাণ, সাদামাটা জীবনের একজন মানুষ ছিলেন। অজাতশত্রু, অমায়িক মানুষ হিসেবে তাকে দেখেছি। দায়িত্বের ব্যাপারে ছিলেন খুব সচেতন। শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। সুন্দর ছড়া লিখতেন। ছোটদের পত্রিকা টুনটুনি প্রকাশ করতে গিয়ে তার সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। ‘আমার দেশ’ বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়েন। মাঝে কিছু দিন বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। অভাব অনটনের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু মুখ ফুটে কাউকে আর্থিক সমস্যার কথা বলেননি। এমন একজন মানুষ করোনায় চিরতরে হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর আমরা ৩০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে হারিয়েছি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য। এনটিভির যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুস শহীদের মৃত্যু আমাকে খুবই বেদনাহত করেছে। তিনিও ছিলেন আমার দীর্ঘ দিনের সহকর্মী এবং আমাদের নেতা। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ২৩ আগস্ট মারা যান। তার সাহচর্যের কথা কখনো ভুলতে পারব না। তিনিও সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। একসময় কবিতা লিখতেন এবং সাহিত্যচর্চা করতেন। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন পোস্ট দিতেন কবিতার ঢঙে। লক্ষ্মীপুরে নিজ গ্রামে এতিমখানা ও মসজিদ নির্মাণ করে গেছেন। মৃত্যু অনিবার্য। প্রত্যেক প্রাণকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে মৃত্যু খুবই কষ্টের সৃষ্টি করে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা কে মরি, কে বাঁচি কে জানে! মহান আল্লাহ সবাইকে মাফ করে দিন। যেসব সহকর্মী, ভাই, বন্ধু বিদায় নিয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক