হাসপাতালে করোনা রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে রোগীরা নানা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। গরিব রোগীরা ওষুধের অভাবে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবায় মোনাস ট্যাবলেট, ফিক্সজো ট্যাবলেট, এজি-থ্রো মাইসিন ক্যাপসুল, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, গ্যাসের ট্যাবলেট ও জিঙ্ক-এর প্রয়োজন হয়। এর সাথে রোগের লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োজন হয় ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধের। কিন্তু মোনাস ট্যাবলেট, ফিক্সজোসহ মূল্যবান অনেক ওষুধ নেই এ হাসপাতালে। ফলে, চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে রোগীদের বাইরের ফার্মেসী থেকে এসব ওষুধ ক্রয় করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরিব রোগীরা এক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মূল্যবান ওষুধ কিনতে না পারার কারণে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রেডজোন হচ্ছে কোভিড-১৯ ইউনিট। এ ইউনিটে রয়েছে ৪০টি বেড। রোগীর অভাবে বেডগুলো খালি পড়ে থাকছে। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় রেডজোন রোগী ছিলেন ২ জন। বাকি ৩৮টি বেড খালি ছিল। রোগীর সংখ্যা একেবারে কম থাকলেও তারা সরকারি ওষুধ পাচ্ছেন না। অথচ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যে এজি-থ্রো মাইসিন ট্যাবলেটসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ওষুধ জমা রাখা হচ্ছে স্টোরে। কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা নেয়া রোগীরাও পাচ্ছেন না গুরুত্বপূর্ণ ওই সকল ওষুধ। আগে সকল রোগী এসব ওষুধ পেতেন। এসব বিষয় নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওষুধের সংকট থাকলে কি আর করা যাবে। হাসপাতালে সরকারিভাবে যে ওষুধ সরবরাহ থাকবে, তাই রোগীরা পাবে। না থাকলে পাবে না।