বেড়েই চলেছে সয়াবিনতেলের দাম, ৪৫ টাকায় স্থির আলু

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ক্রমাগতহারে বাড়ছে। এ সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেল ৫ টাকা,সুপার তেল ৪ টাকা আর সরিষা তেলের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। স্থির রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। কিছু সবজির দাম এ সপ্তাহে আরও কিছুটা কমেছে। তবে নতুন সবজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। ইলিশ মাছের সরবরাহ কম হলেও বাজারে অন্যান্য মাছের যোগান আসছে ভালো। খুচরা তেল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর শীতে চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যায়। এর বড় একটা কারণ পাম তেল শীতে জমে যায়। শীতকালে সয়াবিন তেলে পাম তেল মেশানো যায় না। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় সয়াবিন তেলের সাথে অপেক্ষাকৃত কম দামের পাম তেল ভেজাল দেন। সাধারণত সয়াবিন তেলের সাথে পাম তেলের কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা পার্থক্য থাকে। গরমকালে পাম তেল জমে না বিধায় সয়াবিন তেলে অনায়াসে ভেজাল দেওয়া যায়।
গতকাল শুক্রবার বড়বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এ সপ্তাহে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গত সপ্তাহে দর ছিল ১০৫ টাকা। আর পাম তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৯৭ টাকায়। এ সপ্তাহে চাহিদা কমে যাওয়ায় পাম তেলের কেজিতে এক টাকা কমে গেছে। বাজারে আলু, পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন আলুর আমদানি সামান্য বাড়লেও পুরনো আলু প্রতি কেজি এ সপ্তাহেও ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আমদানিকরা পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা আর শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। শুক্রবার বড়বাজারে নতুন সবজি আমদানি হয়েছে পেঁয়াজের কালি। যথারীতি দামও ছিল বেশ চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। এদিকে সব সবজির দাম ধারাবাহিকভাবে না কমলেও এ সপ্তাহে কমেছে উচ্ছে, কাঁচকলা, শিম ও ফুলকপির দাম। গতকাল বাজারে উচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য সবজি যেমন; বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মুলো ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মানকচু ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কুমড়ো ৫০ টাকা, ওল ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহেও বড়বাজার মাছবাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়েনি। গতকাল এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা, ৭০০/৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা আর ৩টায় কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া ২ থেকে আড়াই কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২২০ টাকা, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৪ থেকে ৫ টায় কেজি ৪০০ টাকা, চাষের শিং ১৫ থেকে ১৬ টায় কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি শিং ৬ থেকে ৭টায় কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, ৮ টায় কেজি গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, ২০ থেকে ২৫ টায় কেজি বাগদা চিংড়ি ৪০০ টাকা, ২ টায় কেজি নাইলোটিকা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও ২৫ টায় কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়।