রহস্য উদঘাটন পিবিআই’র : নড়াইলে ইজিবাইকচালক রোহান হত্যায় আটক ৩, যশোর থেকে ইজিবাইক উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ নড়াইলে ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লাকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে আটক ও ছিনতাই করা ইজিবাইক উদ্ধার করেছে যশোরের পিবিআই। গতকাল এক বার্তায় এ হত্যা রহস্য উদঘাটনের খবর জানান সংস্থার যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন। গত ২৫ নভেম্বর ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লার মরদেহ নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বামনহাট রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রোহান নড়াইল সদর উপজেলার ডাঙ্গাসিঙ্গিয়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। নিহতের পিতা বাদি হয়ে ওই দিন অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, যশোরের পিবিআই নিজেদের উদ্যোগে এ মামালার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাত থেকে অভিযান চালিয়ে ২৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তারা তিন জনকে আটক করেন। আটক তিন জন হচ্ছে নড়াইল সদর উপজেলার কোমরখালী গ্রামের আলীম মোল্লার ছেলে আল মামুন ও মনজুর শেখের ছেলে শাহিন শেখ এবং ভোয়াখালী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মাসুদ রানা। ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টার পর মামুন ও মাসুদ রানা এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে পরদিন নড়াইলের রূপগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে শাহীন শেখকে আটক করা হয়। আটক আল মামুন ও মাসুদ রানা স্বীকারোক্তিতে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে নিহত রোহানের মোবাইল ফোন ও যশোর সদরের উপশহরের সি-ব্লকের সম্রাটের বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় সম্রাটকে পাওয়া যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক গাজী মো.মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, সম্রাট এ ঘটনায় কতটুকু জড়িত তা জানতে তদন্ত চলছে।
পিবিআই জানায়, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অভিযুক্ত আল মামুন ও শাহিন শেখসহ তাদের সহযোগীরা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের একটি সক্রিয় চক্র। গত ২৪ নভেম্বর তারা রোহান মোল্লার ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনানুযায়ী ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তরা পাশর্^বর্তী বামনহাট এলাকায় গানের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কথা বলে রোহান মোল্লার ইজিবাইক ভাড়া করে রওনা হয়। একপর্যায়ে তারা নড়াইল সদর থানাধীন বামনহাট (মাইজপাড়া-গাবতলা) পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অভিযুক্ত আল মামুন ও শেখসহ তাদের সহযোগীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লা গলায় ফাঁস দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে মোবাইল ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত আল মামুন ও শাহিন শেখদের সহযোগীরা অভিযুক্ত মাসুদ রানার কাছে আশি হাজা টাকায় ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেয়। আটক মাসুদ রানা জানিয়েছে, সে একজন পেশাগত চোরাইমাল ক্রয়কারী। অভিযুক্তরা পরিকল্পনানুযায়ী হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। অভিযুক্ত আল মামুন, শাহিন শেখ ও মাসুদ রানা গতকাল নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।