বাংলাদেশে আসা হলো না ম্যারাডোনার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ অনেক পেছনে। এখন অবস্থান ১৮৭ নম্বরে। কিন্তু ফুটবলপ্রেম ওপরের দিকের দেশগুলোর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। রাত জেগে খেলা দেখা কিংবা বিশ্বকাপের সময় নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ার দৃশ্য বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশের মানুষ কতটা ফুটবলপাগল। আর এই ভালোবাসাটা সম্ভবত গড়ে উঠেছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জাদুকরি পারফরম্যান্সে। সেই সূত্রে আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর রয়েছেন কোটি সমর্থকের হৃদয়ে। তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে, ফুটবলমোদীদের সান্নিধ্যে আনার কম চেষ্টা করা হয়নি। নানা সময় ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আনার কথা শোনা গিয়েছে। একযুগ আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন অর্থের কারণে তাকে আনতে পারেনি। এরপরও অনেকবার তার আসার কথা শোনা গেছে। নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল মুজিববর্ষকে সামনে রেখে। বাফুফে জানিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে ম্যারাডোনাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। আর এখন তো এই চেষ্টা সব চেষ্টার বাইরে। কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে ম্যারাডোনা চলে গেছেন অন্যলোকে। বাংলাদেশে তাই আর আসা হলো না আর্জেন্টিনার ’৮৬ বিশ্বকাপ নায়কের। সেই জায়গায় অবশ্য বাংলাদেশের ইউনিফায়েড ফুটবল দল সৌভাগ্যবান। ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গেমসে খেলতে গিয়ে ম্যারাডোনার সান্নিধ্য পেয়েছিল তারা। সেই সময় আমন্ত্রণ পেলে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছিলেন বুধবার পৃথিবী ছাড়া এই কিংবদন্তি। আরব আমিরাতে হঠাৎই বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে হাজির হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। স্পেশাল অলিম্পিকের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমন্ত্রিত বাংলাদেশের ফুটবলারদের তখন বিস্ময়ে চোখ কপালে। তাদের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটানোর পর সেই মুহূর্ত আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর ভাগাভাগি করেছিলেন নিজের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে।
বাংলাদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে মিনিট দশেকের মতো সময় কাটিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। সেই মুহূর্তের স্থিরচিত্র ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন তিনি। নিজের অনুভূতি ভাগাভাগি করে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার বন্ধুরা, যারা ২০১৯ সালে আবুধাবির স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নিতে যাচ্ছে। বধির এই খেলোয়াড়দের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আল-ফুজাইরা ক্লাব আমাদের সঙ্গে অনুশীলনের জন্য।’ পোস্টের পরের অংশে ম্যারাডোনা লিখেছিলেন, ‘খেলাধুলা কিছুটা বিস্ময়কর, কারণ এটা আমাদের কাছে আনে, একতাবদ্ধ করে। সবার জন্য ভালোবাসা, বিশেষ করে তাদের, যারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিদিন। হাল ছেড়ে দিও না!’