গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার সেই পুলিশ সদস্য আবারও রিমান্ডে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে আটক পুলিশ কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার আবারও রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বুধবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র বিচারক গৌতম মল্লিক তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা সিআইডি’র (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস) সহকারী পুলিশ সুপার কাজী আবু সাঈদ গত ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে দেব প্রসাদ সাহার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। দেবপ্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা শহরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দেবপ্রসাদ সাহা ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন। সেখানে চাকরিকালীন তিনি ভারতের অনেকের সাথে গোপন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যে কারণে তিনি যখন তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালনকালে এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর একজন অফিস সহকারী ও একজন সৈনিকের সাথে তার পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেনাবাহিনীর ওই দুজন বেনাপোলে মাঝে মধ্যে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুই ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে দেবপ্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড পার হয়ে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন দেবপ্রসাদ সাহা। এরপর গত বছরের ২৫ অক্টোবর ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে অভিযুক্ত এক সেনাসদস্য আটক হন। এসময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয় এবং ভারতে তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন তিনি। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ভারতের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের সাথে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ‘র’ এর কাছে দেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। ফলে এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য দেবপ্রসাদ সাহাকে আসামি করে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পরে দেবপ্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়।