হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন রিজভী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পান। হার্টে রিং পরানোর পর এখন সুস্থ আছেন রুহুল কবির রিজভী। তবে তাকে বাসায় কমপক্ষে এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রিজভীর সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বলেন, তিনি আজ বেলা এগারোটায় হাসপাতাল ছেড়েছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এছাড়া অসুস্থ হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও যারা দেশ-বিদেশ থেকে খোঁজ-খবর নিয়েছেন, সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রিজভী। সেই সঙ্গে ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভীর হার্টে রিং পরানো হয়। তার চিকিৎসক ও বিশিষ্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলোজিস্ট মনোয়ারুল কাদির বিটু এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে এগারোটায় হাসপাতালে ভর্তি হন রুহুল কবির রিজভী। ল্যাবএইডের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড রিজভীর শারীরিক সমস্যা নিয়ে মতামত গ্রহণ করেন। বোর্ডের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে শনিবার রিজভীর হার্টে রিং পরানো হয়। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইডে রিজভীর হার্টের এনজিওগ্রাম করার পর হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইডের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এ সময় তার ইকো কার্ডিওগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরদিন ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রিজভীর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।