যশোর রেল স্টেশনে হামলায় আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক # চাকুসহ ২ সন্ত্রাসী আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত দুই যুবকের মধ্যে আল-আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। অপর আহত আলমগীর হোসেন ওরফে আলীও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত চিহ্নিত ২ সন্ত্রাসী একটি ধারালো বার্মিজ চাকুসহ আটক হয়েছে। স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। এই সন্ত্রাসীরা ষষ্ঠীতলা এলাকার ক্ষমতাসীন দল আশ্রিত আলোচিত এক সন্ত্রাসীর অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত। আহত আলমগীর হোসেন ওরফে আলীর বড়াভাই শংকরপুরের বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, গত রোববার বিকেলে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীরা পেটে ছুরিকাঘাত করায় সদর উপজেলার ভগবতিতলা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে আল-আমিনের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার পর প্রথমে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুরিকাঘাতের ফলে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তার একটি নাড়ির কিছু অংশ কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও জানান, তার ভাই আলীর অবস্থাও গুরুতর। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়ার কারণে আলীর ঘাড়ের শিরা কেটে গেছে। তাকেও প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, গত রোববার বিকেলে ওই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন রেলস্টেশন সংলগ্ন শংকরপুর গাড়োয়ানপট্টির হোটেল শাহানাজের পেছন থেকে জড়িত ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী আল-আমিন (২৬) ও আসিফকে (২০) আটক করেন। এ সময় তাদের কাছে একটি ধারালো বার্মিজ চাকু পাওয়া যায়। পরে আটক দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন জনতা। কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, দুই যুবককে সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আহত আলমগীর হোসেনের বড়ভাই জাকির হোসেন ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে-শংকরপুর গাড়োয়ানপট্টির আলীর ছেলে অমিত ও মেহেদী, আসিফ ফারুকের ছেলে বিদ্যুৎ, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আকবর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আজিজুল হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন ও শংকরপুর গাড়োয়ানপট্টির শাহিনের ছেলে কোরবান। এদের মধ্যে আসিফ ও আল-আমিন আটক হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রেলস্টেশন এলাকার বিসমিল্লাহ সেলুনের সামনে উল্লিখিত ছিনতাইকারীরা সদর উপজেলার ভগবতিতলা গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিনের পেটে ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা মামালার বাদী জাকির হোসেনের ভাই আলমগীর হোসেন ওরফে আলীকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতাসীন দল আশ্রিত ষষ্ঠীতলার আলোচিত এক সন্ত্রাসীর সহযোগী ওই ছিনতাইকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা রেলস্টেশন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে। এছাড়া তারা চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত।