প্রথম হয়েও নিয়োগ না পাওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করলেও মাসদুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে প্রায় চার বছর অপেক্ষায় থেকে প্রতিকার না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে যশোর পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক বালিয়াডাঙ্গা খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদুর রহমানসহ ১৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের পর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি মনিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার(তৎকালিন) আকরাম হোসেন খানসহ ৫ সদস্যের নিয়োগবোর্ড গঠন করা হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের মধ্যে মাসুদুর রহমান ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩৪ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। দ্বিতীয় স্থান অধিকারি ইউনুচ আলী পান ৩৩.৮ নম্বর। কিন্তু অভিযোগ করা হয়েছে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান আকরাম হোসেনসহ কতিপয় সদস্য প্রথমস্থান অধিকারী মাসুদুর রহমানের পরিবর্তে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী প্রার্থী ইউনুচ আলীকে নিয়োগদানের জন্য সুপারিশ করেন। ফলে ম্যানেজিং কমিটি ইউনুচ আলীকে নিয়োগ দেন। সে মোতবেক ইউনুচ আলী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে এমপিওভূক্ত হন। পরবর্তীতে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালিপদ মন্ডল ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলীকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন এমদাদুল হক নামে একজন শিক্ষক। এ দিকে প্রধান শিক্ষক পদে পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী মাসুদুর রহমান চার বছর পর ১৬ নভেম্বর যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা করেন। আর এ মামলায় আসামি করা হয়েছে নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী(বর্তমান বহিষ্কার) এবং তৎকালিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খানকে। বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহম্মেদ খান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন যশোর পিবিআইকে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, আদালতে মামলার বিষয়টি তার জানা নেই।