চলেই গেলেন বাদল রায়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ডাক্তাররা আগেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তারপরও তার পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আশা ছাড়েননি। বাদল রায়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। ডায়ালাইসিসের জন্য সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ মেডিকেলে। সেখানেই রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সাবেক ফুটবল তারকা ও ক্রীড়া সংগঠক বাদল রায়। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে। তারই একসময়ের সতীর্থ আব্দুল গাফফার বলেছেন, ‘ডাক্তাররা রবিবার বিকেলে ঘোষণা দিয়েছেন বাদল রায় আর নেই। আমরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি।’ আরেক সতীর্থ হাসানুজ্জামান বাবলু পরিতাপের সুরে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে তো বাদলের চিকিৎসা ঠিকমতো হয়নি। বাংলাদেশ মেডিকেলে এসে ওর মৃত্যু হলো।’
২০১৭ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে ছিল। সেবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সিঙ্গাপুরে বেশ কিছুদিন তার চিকিৎসা হয়। সুস্থ হয়ে ফিরেও আসেন। এবার পেটে ব্যথাসহ নানা উপসর্গে কিছুদিন ধরে আজগর আলী ও স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। দিন দিন অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছিল। সবশেষে যকৃতে ক্যানসার ধরা পড়ে। সেটিও স্টেজ-৪ অবস্থা। স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা শেষের দিকে এসে আশা ছেড়ে দেন। বাদল রায় স্কয়ার হাসপাতাল বাদল রায় ৮০’র দশকে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে খেলেছেন। জাতীয় দলেও ছিল সমান আধিপত্য। ছিলেন অধিনায়কও। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সংগঠক হিসবে সুনাম কুড়িয়েছেন। প্রিয় ক্লাব মোহামেডানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমৃত্যু। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে যুগ্মসম্পাদক হিসেবে কাজ করার পর টানা তিনবার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে সহ-সভাপতি ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সাবেক ফুটবলার ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন।