কেশবপুরে মরিয়ম বেগম হত্যা মামলায় মাসুদ মোড়লকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের মরিয়ম বেগম হত্যা মামলায় মাসুদ মোড়লকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আটক মান্নান ও আবু বক্কার সিদ্দিকের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক হাসান ইমাম। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কালিয়ারই গ্রামের শেখ আব্দুল আহাদের স্ত্রী মরিয়ম বেগম কেশবপুর মাছ বাজারের পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি শপিং ব্যাগ তৈরি ও গরু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার দুই ছেলের মধ্যে শেখ আব্দুল্লাহ খুলনা বিএল কলেজে পড়েন ও ছোট ছেলে বাঘারপাড়য় খালু বাড়ি থাকেন। ছেলেরা প্রতিদিন মোবাইল ফোনে মায়ের খোঁজখবর নিতেন। ২০১৭ সালের ১৭ ও ১৯ মে শেখ আব্দুল্লাহ তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফোন দিয়ে বন্ধ পান। ২২ মে বিষয়টি তার ভাইকে জানান। ২৯ মে ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন ঘরের দরোজায় তালা দেয়া। এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে সবকিছু এলোমেলো দেখেন। মাকে না পেয়ে নানা বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেন আব্দুল্লাহ। নানা বাড়ির লোকজন নিয়ে ভাড়া বাড়িতে এসে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বিচালিগাদার নিচে বস্তায় ভরা মরিয়ম বেগমের পচাগলা লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ৩০ মে নিহতের ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ অজ্ঞাত আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম বেগম বাড়িতে শপিং ব্যাগ তৈরি ও গরু পালন করে বেশ টাকা জমিয়েছিলেন। আসামি মাসুদ টাকার লোভে তাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখাতো। ঘটরার রাতে মরিয়ম বেগমকে ঘরের মধ্যে হত্যার পর বস্তায় লাশ ভরে মাসুদ বিচালিগাদার নিচে লুকিয়ে রেখেছিল। এ মামলার তদন্ত শেষে গ্রেফতার আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় মাসুদ মোড়লকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে মাসুদ মোড়ল জামিনে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।