২০২২ সাল থেকে মাধ্যমিকের সব শ্রেণিতে কারিগরি বাধ্যতামূলক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিকের সব শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যামূলক করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কারিকুলাম পরিমার্জনের পর নতুন কারিকুলামে ২০২২ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাধ্যমিকের সব ক্লাসে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম যখন ২০২২ সালে আসবে, তখন নতুন কারিকুলামের সঙ্গে মাধ্যমিকের সব শ্রেণিতে কারিগরি বাধ্যতামূলকও ২০২২ সাল থেকে শুরু হবে।’ কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার মাধ্যমিকে কারিগরি ট্রেড চালুর উদ্যোগ নেয়। চলতি ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ)’ আতওতায় দেশের ৬৪০টি নির্বাচিত সাধারণ শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়। এর মধ্যে ৫৯৮টি সাধারণ শিক্ষা ধারার বিদ্যালয় এবং ৯২টি মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে নির্ধারিত দুটি ট্রেড পড়ানো শরু হয়েছে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিকের সব শ্রেণিকে কারিগরি বাধ্যতামূলক করা হবে। কারিগরির তিনটি ট্রেড পড়াতে হবে মাধ্যমিকের সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কিন্তু কারিকুলাম পরিমার্জনের কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় ২০২২ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে নতুন অনেক ট্রেড চালু করা হয়েছে। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী কারিগরি আরও যুগোপযোগী হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, কারিকুলাম পিছিয়ে যাওয়ায় সব কার্যক্রমই এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম চালু শুরু হবে। ২০২২ সাল থেকে মাধ্যমিকের নবম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞাপন, বাণিজ্য বিভাগ উঠিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিকুলাম পিছিয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন উঠিয়ে দেওয়া হবে। এনসিটিবি সূত্র আরও জানায়, ২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণি, ২০২২ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম ও নবম, ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম, ২০২৪ সালে একাদশ এবং ২০২৫ সালে দ্বাদশ শ্রেণির পরিমার্জিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কারিকুলাম পিছিয়ে যাওয়ায় সব এক বছর করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন পাঠ্যক্রমে কনটেন্ট পড়ার চাপ কমিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হবে পরীক্ষায়। কারিগরি শিক্ষাকে করা হবে জীবনমুখী।