অভয়নগরের হৃদয় হত্যা মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আবিদ হাসান হৃদয় হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। এতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইনসপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেন।  অভিযুক্তরা হচ্ছেন, অভয়নগরের গুয়াখোলা গ্রামের ইউসুফ ভুঁইয়ার ছেলে সাজু ভুঁইয়া, মিজানুর রহমানের ছেলে রাকিবুল হাসান রাব্বি, ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে শাকিল হাওলাদার ও বুইকারা ড্রাইভারপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে কাজল ইসলাম মিলন। অভিযুক্ত সকল আসামি জামিনে আছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, আবিদ হাসান হৃদয় বুইকারা গ্রামের মিন্টু হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি। ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর দুপুর ভাঙ্গাগেট এলাকার দিয়াপাড়ার ঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার হয়েছিলো। তবে পরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে লাশটি আবিদ হাসান হৃদয়ের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের ফুপাতো বোন ইবনুর সুলতানা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। এদিকে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই আবিদ হাসান হৃদয় হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, হৃদয়ের পিতা মারা গেছেন। তার মা অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করেন। অপরদিকে মিন্টু হাওলাদার হত্যা মামলায় জামিনে থাকা হৃদয় একাকি বাড়িতে বসবাস করতেন। তাছাড়া তিনি মাদকাসক্ত এবং বেপরোয়া জীবনযাপন করতেন। আসামিরা তার সহযোগী ছিলেন। ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হৃদয়সহ আসামিরা নওয়াপাড়ার পুরাতন কাপড়ের মার্কেট থেকে এক গাইট কাপড় চুরি করেন। এই কাপড় বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে গোলযোগ হয়। এর জের ধরে আসামিরা হৃদয়ের গলার মাফলার জড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেন।