কেশবপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ ইউএনও’র কাছে

0

স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ কেশবপুরে বখাটেদের অত্যাচারে দুই স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাদের বাবা আনন্দ দাস ১৬ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আনন্দ দাস পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার বড় মেয়ে নবম শ্রেণি ও ছোট মেয়ে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। একই পাড়ার নির্মল দাসের ছেলে বখাটে বাবলা দাস ওরফে তুষার (২১) ও কার্তিক দাসের ছেলে চঞ্চল দাস (১৮) দীর্ঘদিন ধরে তার দুই মেয়ের স্কুলে ও কোচিংয়ে যাওয়া আসার সময় রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকী বখাটেরা অপহরণের হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গত ১৫ নভেম্বর রাতে বখাটেরা কৌশলে মেয়েদের শয়ন কক্ষে ঢুকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তার ছোট মেয়ের মুখ ও গলা চেপে ধরে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আহত ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই দুই শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে নির্যাতিত ছাত্রীদের বাবা আনন্দ দাস গত ১৬ নভেম্বর বখাটে বাবলা দাস ওরফে তুষার (২১) ও চঞ্চল দাসকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই বখাটেরা গা ঢাকা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান পপি বলেন, অভিযোগ পেয়েই তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দীন জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বখাটেরা পলাতক রয়েছে।’