বাঘারপাড়ায় উপনির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হামলায় আহত ১৫, আটক ২

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রচারণা শুরুর আগেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নৌকা প্রতীকের পক্ষের কম বেশি ১৫জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। দুই জনকে আটক করা হয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী ইন্দ্রা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বির্তক চলাকালে বাজারে বসেই দিলু পাটোয়ারী কয়েকজনকে ফোন করেন। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই সেখানে দোহাকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার, শচিন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও মুন্সি বাহারের নেতৃত্বে লাঠিসোঠা নিয়ে জড়ো হয় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। এ সময় তারা নৌকার কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে বাঘারপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন । এঘটনায় ওই রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আহতদের মধ্যে ইন্দ্রা গ্রামের জহুরুল বিশ্বাসের ছেলে আবদুর রব (৪৫) ও শরিফুল ইসলামের (৪০) অবস্থা গুরুতর। তারা যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই দুইজনের অপর ভাই ফেরদৌস (৩০), ও একই গ্রামের মৃত খয়বার মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), মৃত মাহতাব মোল্লার ছেলে শুকুর আলী (৩৫), মোকাম মোল্লার ছেলে বাহারুল ইসলাম বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিরা বাঘারপাড়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকৎসা নিয়েছেন। বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার নাসিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, ওই দুই ব্যক্তির মাথা ও মুখমন্ডলে আঘাত লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের যশোরে রেফার করা হয়েছে। সংঘাতের ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলু পাটোয়ারী সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইন্দ্রা বাজারে এলে নৌকার সমর্থকরা তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। খবর পেয়ে তার কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে দুই পরে মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। তবে নৌকার প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথীর দেবর ও জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল জানিয়েছেন, দিলু পাটোয়ারী এবং সংসদ সদস্য রণজিত রায়ের ছেলে রাজিব রায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাদের আশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা আগেই ইন্দ্রা বাজারে লাঠিসোটা মজুদ করে রেখেছিল। বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, ইন্দ্রা গ্রামের জাকির হোসেন বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ১০/ ১২ জনের নামে মামলা করেছেন। এজাহারভুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।