যশোরে ছাত্রদলের সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম : সরকার আতঙ্কিত হয়ে নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে বেশি ভয় পায়। তাই, তারা সব সময় ছাত্রদলকে নিয়ে আতঙ্কে থাকে। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের ঘন্টা বাজিয়েছিল এই ছাত্রদল। সেই কারণে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন হয়, না জানি তারা আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেঙে চুরমান করে দেয়। তাই, আতঙ্কিত হয়েই সরকার ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের নামে নতুন করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এভাবে মামলা করে ছাত্রদলকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। গতকাল বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে জেলা শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, ছাত্রদল কোন সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠন। যাদের আছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। গণতান্ত্রিক উপায়ে যাদের নেতা নির্বাচিত হয়। আর সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে অনেক আগেই দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে ঘৃণাভরে বয়কট করেছে। ছাত্র সমাজের কাছে আদর্শিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকার তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এভাবে তাদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ পারেনি। বর্তমান স্বৈরাচার শেখ হাসিনাও পারবে না। ছাত্রদল আগামীতে তেজদীপ্ত ভূমিকায় থাকবে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। সমাবেশে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরানের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা শাখার সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম টিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৌউদ-আল-রশিদ ড্যানি, ছাত্রদল নেতা বেনজির বিশ্বাস, সুমন আহমেদ, শেখ হাসান ইমাম, আলমগীর হোসেন লিটন, মিলন মাহবুব বকুল, মিজানুর রহমান, রেজোয়ান বাশার সোহান, মফিজুল ইসলাম বুলবুল, শিবলী হাসান অমিত, মহসিন আলী, পিকুল হোসেন, মিরাজ মাহমুদ, নিয়াজ মাহমুদ শিশির, সাকিব-আল-শাহী প্রমুখ।