বাঘারপাড়ায় রেহেনা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত প্রেমিক নয়ন আটক,স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় আলোচিত রেহেনা খাতুন হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত নিহতের প্রেমিক নয়ন বিশ্বাসকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গত সোমবার দুপুরে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার নহাটা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার সিংগীয়া গ্রামের আবুল কালাম বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে যশোরে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পিবিআই সূত্র জানায়, রেহেনার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চরপাড়া গ্রামে। প্রেমিক নয়ন বিশ্বাস তার চাচাতো দেবর। গত মার্চে রেহেনাকে বাঘারপাড়ায় নিয়ে খুন করার পর থেকে নয়ন বিশ্বাস পলাতক ছিলেন। গত সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইনসপেক্টর আব্দুস সালাম মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার নহাটা বাজার থেকে তাকে আটক করেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন বিশ্বাস স্বীকার করেন যে, রেহেনার সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার (রেহেনার) কাছ থেকে টাকা নিয়ে মালয়েশিয়ায় যান। এক পর্যায়ে তিনি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে এলে রেহেনা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তারপরও রেহেনা তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ কারণে তিনি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০ মার্চ রেহেনাকে ঢাকা থেকে ডেকে আনেন নয়ন বিশ্বাস। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বাসে করে আসার পর মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন রেহেনা। এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে নয়ন বিশ্বাস, তার ফুফাতো ভাই মিন্টু ও মামা ইমাদুল সেখান থেকে তাকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা-বামনহাটি সড়কের বল্যামুখ গ্রামের মোহর সরদারের জমিতে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর নয়ন বিশ্বাস তার প্রেমিকা রেহেনাকে জোর করে ভ্যান থেকে তার নামিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। সূত্র আরও জানায়, আটক নয়ন বিশ্বাসকে মঙ্গলবার যশোরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, এর আগে পিবিআই রেহেনা হত্যাকান্ডে জড়িত ভ্যানচালক মিন্টুকে আটক করে। তিনিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।