শার্শায় ১৩ বছরের কিশোরীর বয়স বাড়িয়ে নোটারির মাধ্যমে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ শার্শা উপজেলায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে কাবিন না করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী হাজেরা খাতুন উপজেলার নিজামপুর মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সুবর্ণখালী গ্রামের আক্কাছ পাকানীর মেয়ে হাজেরার বিয়ের বয়স না হওয়ায় এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। মেয়ের বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল মহিলা বিষয়ক অফিসার জাহান-ই-গুলশানকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, শার্শা উপজেলার সুবর্ণখালী গ্রামের আক্কাস পাকানী তার ১৩ বছরের মেয়ে হাজেরাকে গত ৫ নভেম্বর জামতলা টেংরা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (২২) এর সাথে আদালতে নিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেন। যার কোন কাবিন বা রেজিস্ট্রেশন নেই। বিষয়টি জানজানি হলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে শার্শা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার জাহান-ই-গুলশান সরজমিনে তদন্ত করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আক্কাছ পাকানী তার মেয়ের বিয়ের কাবিন দেখাতে পারেনি। মেয়েটি অনেক ছোট। তার জন্ম নিবন্ধনে বয়স ১৯ বছর। হাজেরার জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে গত ২৯ অক্টোবর শার্শা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। নিবন্ধনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের স্ব্ক্ষার রয়েছে। যার নং নিবন্ধন ২০০১৪১১৯০৮৬৯১৬৯৭০। প্রকৃত পক্ষে হাজেরার বয়স জন্ম নিবন্ধনে ৬ বছর বেশি দেখানো হয়েছে। যা প্রশ্নবিদ্ধ। কিশোরী হাজেরার মা ছায়রা বেগম বলেন, তার মেয়েকে গোড়পাড়ায় নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার জাহান-ই-গুলশান জানান, ‘নোটারির মাধ্যমে বিয়ে কোনো বিয়ে নয়। বয়স না হলে কোনো কাবিনমূলে বিয়ে হবে না। যে কারণে হাজেরার বিয়ে কোনভাবেই বৈধ নয়। তিনি বলেন বিষয়টি আমরা জেনে সরজমিনে তদন্ত করছি। মেয়ের বয়স নিবন্ধনে ১৯ হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, সে কোন শ্রেণিতে পড়ে এবং প্রতিষ্ঠানে তার বয়স কত। তিনি আরও বলেন বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।