নেপালকে রুখে দিয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রথম ম্যাচে জীবন ও সুফিলের গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে স্বাগতিকরা। তবে ১-০ ব্যবধানে ঠিকই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজে প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের রুখে দিয়েছিল নেপাল। দ্বিতীয়ার্ধেও সুবিধা করতে না পারায় ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামাল ভূঁইয়ারা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে শুরু থেকে দুই দল রক্ষণ জমাট রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জেমি ডে করোনায় আক্রান্ত। তার জায়গায় সহকারী স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস ডাগ আউটে। তার অধীনে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছিল বাংলাদেশ। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা ও ইয়াসিন খান শুরু থেকে খেলেছেন। ২ মিনিটের সময় প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। যদিও সাদ উদ্দিনের ক্রসটি জমে যায় গোলকিপার কিরণ কুমারের তালুতে। পরের মিনিটে নেপালের তেজ তামাংয়ের দূরপাল্লার শট গোলকিপার রানার তালুবন্দী করতে তেমন কোনও সমস্যাই হয়নি। জামালরা লম্বা পাসে খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে মাঝমাঠ আগের ম্যাচের মতো ছিল কিছুটা নিষ্প্রভ। নাবীব নেওয়াজ জীবন প্লে-মেকারের ভূমিকায় ঘাম ঝরিয়েছেন। একাধিক আক্রমণের উৎসে এই ফরোয়ার্ড।
তরুণ স্ট্রাইকার সুমন রেজা দুটি সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ২৩ মিনিটে জীবনের পাস থেকে সুমন রেজা বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৩১ মিনিটে জীবনের ক্রস থেকে সুমন রেজার আরও একটি দুর্বল শট গোলকিপার কিরণ সহজেই রুখে দিয়ে স্বাগতিকদের হতাশ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে সুমন রেজার জায়গায় নামেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। খেলায় কিছুটা গতি ফিরলেও গোল আসেনি। নেপাল এই অর্ধে আক্রমণ বাড়িয়ে খেলেছে। ৫৬ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে নেপালের সুজল শ্রেষ্ঠা পা ছোঁয়াতে পারেননি। তার আগেই ডিফেন্ডার তপু ক্লিয়ার করেন। ৫৯ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে সুফিলের পাসে মানিক মোল্লা লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ হন। দুই মিনিট পর মানিক ও ইব্রাহিমের জায়গায় নামেন বিপলু ও সোহেল রানা। কিন্তু তাতেও গোল আসেনি। বরং যোগ করা সময়ে নেপাল পায় ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগ। যদিও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বারপোস্ট। নবযুগ শ্রেষ্ঠা মাথা ছোঁয়ানোর পর গোলকিপার রানাকে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্টে লাগলে রক্ষা বাংলাদেশের। খানিক পর রেফারি মিজানুর রহমানের শেষ বাঁশি বাজলে আতশবাজিতে রঙিন হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আকাশ।
বাংলাদেশ একাদশ: আশরাফুল ইসলাম রানা, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, জামাল ভূঁইয়া, মানিক মোল্লা (বিপলু আহমেদ), ইব্রাহিম (সোহেল রানা), সাদ উদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সুমন রেজা (মাহবুবুর রহমান সুফিল)।