দিন-দুপুরে ব্যাংক ডাকাতি চুয়াডাঙ্গায়

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনালী ব্যাংক উথলী শাখায় রবিবার দুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। হেলমেট ও পিপিই পরিহিত তিন যুবক ফিমি স্টাইলে অস্ত্রের মুখে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। চলে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মোটরসাইকেল আরোহী ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়। তখন পিছিয়ে আসেন এলাকার মানুষ। সোনালী ব্যাংক উথলী শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার দুপুর ১টার দিকে তিন ব্যক্তি হেলমেট পরা অবস্থায় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ঢুকেই প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গেট বন্ধ করে দেয়। ব্যাংকে উপস্থিত সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা আমাদেরকে গুলি করার হুমকি দেয়। অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা নিয়ে তারা দ্রুত সটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল হোসেন মুন্না বলেন, ‘মাথায় হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ব্যাংকের টাকা লুট করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পেছনে আমরা ধাওয়া করি। কিন্তু তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আমাদেরকে গুলি করার হুমকি দিলে ভয়ে আর এগুতে পারিনি। তারা জীবননগর উপজেলার ডুমুরিয়া নামক স্থানের রাস্তা দিয়ে আন্দুলবাড়ীয়ার দিকে চলে যায়।’জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক উথলী শাখা থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯শ’ টাকা লুট হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন,‘ঘটনার পর পর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত জড়িতদের শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের ভল্ট খুলে দিতে বাধ্য করেন। তবে ওই সময় টাকা তুলতে একজন গ্রাহক ব্যাংকে এসে অস্ত্রধারীদের দেখে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অস্ত্রধারীরা দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তাই ভল্টের কোনো টাকা লুট হয়নি।’ জেলা প্রশাসক মো.নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, তিনজন প্রহরী ও দুজন গ্রাহককে খেলনা পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে দিনদুপুরে লুট করেছেন। দুর্বৃত্তরা দুপুরের খাওয়ার বিরতির সময়কে কাজে লাগান। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, ব্যাংকটিতে সিসিটিভি ছিলো না। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। দোষীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।