কাশিমপুরে আ.লীগের পাল্টাপাল্টি হামলার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্নাসহ ১৭জন আসামি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় রবিবার কোতয়ালি থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে সাইদুর রহমান (২৯) এবং অপর মামলার বাদী একই গ্রামের মৃত কাদের বক্স বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪২)। চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নাসহ ওই দুই মামলার আসামির সংখ্যা ১৭। সাইদুর রহমানের মামলার আসামিরা হলেন, সদরের ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, তার ভাই আব্দুল হান্নান ও ছেলে আব্দুল আওয়াল, চুড়ামনকাটি রেলস্টেশনের পাশের হঠাৎপাড়ার আলম হোসেন, ইসলামপুরের আব্দুল কাদেরের ছেলে আলমগীর হোসেন, শ্যামনগর গ্রামের আব্দুল মুজিদের ছেলে আমিনুর রহমান, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল আজিজ ও চুড়ামনকাটির মৃত আশকার কবিরাজের ছেলে ইছহাক আলী।
অপরদিকে আব্দুল আজিজের মামলার আসামিরা হলেন,শ্যামনগর গ্রামের আশাকের ছেলে বাদল, আবুলের ছেলে টিপু, মহির ছেলে বাবু, কোবাদ আলীর ছেলে কওছার, ছাতিয়ানতলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে রাসেল ও রক্সি, শ্যামনগর গ্রামের আব্দুস সবুর মেম্বার, আফতাবের ছেলে শাহিন ও সিরাজের ছেলে বাবু। একটি মামলার বাদী সাইদুর রহমানের অভিযোগ, তিনি ও তার ভাই যুবলীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম বাবুর সাথে আসামিদের এলাকায় দলীয় গ্রুপিং নিয়ে বিরোধ আছে। এ জন্য আসামিরা তাদের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। গত ১১ নভেম্বর শহরের গরিব শাহ মাজরের পাশে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমাবেশ হয়। এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন সমাবেশে অংশ নেন। ওই সমাবেশে যোগাদান করায় আসামিরা তাদের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন। পরদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাদী সাইদুর রহমানের ভাই সাইফুল ইসলাম বাবু শ্যামনগর বেলতলা বাজারে তার মুদি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় উল্লিখিত আসামিরা লোহার রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি ও চাকু নিয়ে দোকানে তার ভাইয়ের ওপর আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আসামি আব্দুল মান্নান মুন্নার হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনেন। এবং তারা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ খবর পেয়ে বাদীসহ অন্যরা সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। অপর মামলার বাদী আব্দুল আজিজের অভিযোগ, তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বেলতলা বাজার থেকে শ্যামনগর গ্রামের জগহাটি বাঁওড়ে যাচ্ছিলেন। বাঁওড়ের রাস্তার মোড়ে উল্লিখিত আসামিরা তার ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন এবং তার কাছে থাকা ৬৫ হাজার টাকা কেড়ে নেন।