জালিয়াত চক্রের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা : সচিবলায়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ দুই ব্যক্তিকে সচিবালয়ের এমএলএএস পদে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে। কাজটি করার প্রতিশ্র“তিতে ইতোমধ্যে চক্রটি ৯ লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে। এ ঘটনায় রোববার যশোরের আদালতে একজন নারীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যশোর শহরের পুরাতন কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার মো. শামছুর রহমানের ছেলে মো. শাহীন (৩৫) এই মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হচ্ছেন, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাবলু হাওলাদার (৪০), তার স্ত্রী শম্পা হাওলাদার (৩৫), কাকডাঙ্গা গ্রামের সাজেন সিকদারের ছেলে হাফিজুর সিকদার (৪০) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের জয়নাল তালুকদারের ছেলে জনি তালুকদার (৩৫)।
মামলার বাদি মো. শাহীনের অভিযোগ, কোটালিপাড়া উপজেলার মৃত আমজাদ হোসেন সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার তার ভাগ্নিজামাই। ওই মামলার প্রধান আসামি শম্পা হাওলাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে নেবিল আহমেদ ও চৌগাছা উপজেলার বকশীপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সাবলুর রহমানকে সচিবালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভাগ্নিজামাই মামুন সিকদারের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১ জুন ৯ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। অপর আসামিরা উপস্থিত থেকে এ কাজে শম্পা হাওলাদারের পক্ষে সম্মতি প্রকাশ করেন। বাদি মো. শাহীনের বাড়িতে বসে এই টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটে। শর্তমতে, ৩ মাসের ভেতর তাদেরকে চাকরি পাইয়ে দিবেন আসামি শম্পা হাওলাদার এবং সে সময় তিনি আরও তিন লাখ টাকা মামুন সিকদারের কাছ থেকে নিয়ে যাবেন। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী দুজনকে চাকরি দিতে না পারায় মো. শাহীন ও তার ভাগ্নিজামাই মামুন সিকদার তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করেন। এর এক পর্যায়ে আসামিরা জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দেন। কিন্তু বাদি সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড ভুয়া। ফলে আসামিদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের কাছে ৯ লাখ টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু তারা টাকা না দিয়ে টালবাহানার আশ্রয় নেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে আসামিদেরকে বাদির বাড়িতে ডেকে টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এছাড়া তারা হুমকি ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। ফলে বাদি টাকা ফেরত পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।