যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম : ভোট ডাকাতি আর মিথ্যা মামলা করা আওয়ামী লীগের চরিত্র

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র ও দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করে সর্বত্র ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট ডাকাতি করে। আবার নির্বাচনের পর দলীয় ক্যাডার দিয়ে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে মামলা দায়ের করে। এই হলো- আওয়ামী লীগের চরিত্র।
গতকাল রোববার ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রহসনমূলক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান, বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ঘুষ, দুর্নীতি, ভোট ডাকাতি লুটপাটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এখন নির্বাচন মানেই ভোট ডাকাতি, পেশী শক্তির ব্যবহার, দলীয় ক্যাডারদের অস্ত্রের ঝনঝনানি। তাদের সৃষ্টি হাজী সেলিমের দুর্নীতি, দখলদারিত্ব, দুর্বৃত্তায়ন উন্মোচন করলে হবে না। জনগণ চায়, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও ভোট ডাকাতি করে বারবার ক্ষমতা দখলের বিষয়টি উন্মোচিত হোক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বশেষ দুটি উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে ক্ষ্যান্ত হয়নি। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আজ কথায় কথায় ‘বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাসী’ বলা হয়। জনগণ জানে কারা প্রকৃত আগুন সন্ত্রাসী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। লুটপাটের ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে বাড়ানো হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে নাভিঃশ্বাস উঠছে জনগণের। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার দেখতে চায়। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর-উন-নবী, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাশার শাহীন, জেলা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।