যশোর উপশহরে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল শুক্রবার যশোরে তুচ্ছ ঘটনায় ছোটভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই মিরাজ হোসেন (২৪) খুন হয়েছেন। যশোরের উপশহরে হাউজিং এস্টেটের বাংলোর পিছনে ভৈরব নদের পাড়ের বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিরাজ হোসেন সদর উপজেলার পাগলাদহ গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন তিনি। নিহতের বোন রোজিনা খাতুন জানান, তারা চার বোন ও দুই ভাই। উপশহরস্থ বাবলাতলায় ভৈরব নদের পাড়ে জনৈক সিরাজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তাদের ছোট বোন ময়না খাতুন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তারা তিন বোন, দুই ভাই ও তাদের মা ইলাচি বেগম সেখানে দাওয়াতে আসেন। তিনি বলেন, বড়ভাই মিরাজ মাদকাসক্ত। তার দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রীকে নিয়ে সে পাগলাদহে থাকে। আর ছোট স্ত্রী উপশহরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াতে আসার পর গোসল করার জন্য মিরাজ তার বড় স্ত্রীকে টিউবওয়েল থেকে পানি চেপে দিতে বলে। কিন্তু দূর থেকে আসার ফলে বড় স্ত্রী ছিল কান্ত। তাই উপশহরে থাকা ছোট স্ত্রীকে পানি চেপে দেওয়ার জন্য বোনেরা বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় মিরাজ। ছোট স্ত্রীর টিউবওয়েল থেকে চেপে দেয়া পানিতে সে গোসল করলেও দুপুরে ভাত খেতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে বোনেরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মিরাজ। এ খবর পেয়ে উপশহর বাবলাতলায় থাকা ছোট ভাই ইরান (২২) বোনের বাড়িতে ছুটে আসে। সে বোনেদের সাথে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এরই মধ্যে মিরাজের নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে জখম হয় ইরানের স্ত্রী। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সাথে মিরাজকেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিকেলে মিরাজ হাসপাতাল থেকে ফের ছোট বোন ময়নার বাড়িতে আসে। এ সময় গোলাযোগের এক পর্যায়ে ইরান বড় ভাই মিরাজের বুকের বামপাশে ছুরি বসিয়ে দেয়। মিরাজকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমিয় দাস জানান, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে মিরাজকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ৫০ মিনিট পর সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলমের কাছে কয়েকদফা ফোন করা হয় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।