যশোরে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে সর্বহারা পার্টি পরিচয়ে চাঁদা দাবি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশারাফ হোসেন ও সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চরমপন্থি সংগঠন সর্বহারা পার্টির পরিচয়ে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হয়। কারো কাছে সরাসরি মোবাইল ফোন করে, আবার কারো কাছে এসএসএম (খুদে বার্তা) পাঠিয়ে চাঁদা চাওয়া হয়। আর চাঁদা না দিলে তাদের পরিবারের ক্ষতি করারও হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে এটি কোনো একটি চক্রের কাজ বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অপরদিকে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটের দিকে তার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস এসেছে। ০১৭৪৫-৫২৪৩৫১ নম্বরের মোবাইল ফোন থেকে পাঠানো ওই এসএমএসে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসানের মোবাইল ফোনে অনুরূপ এসএমএস পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দাবি ছাড়াও এসএমএসে আজেবাজে কথা লেখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এটি কোনো একটি চক্রের কাজ বলে মনে করছেন। বিষয়টি তিনি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ০১৯০৭-৩৮৫১৬৭ মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তাকে কল করা হয়। এ সময় অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে সর্বহারা পার্টির প্রধান মেজর জিয়া পরিচয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। শুধুই তাই নয়, চাঁদা পাঠানোর জন্য তাকে একটি বিকাশ নম্বরও (০১৯১০-৪৯৬১০৩) দেয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি তাকে এ সময় বলেন, পার্টির লোকজনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলার জন্য খরচের প্রয়োজন। তিনি জানান, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। থানাতেও জিডি করবেন। সিভিল সার্জন আরও জানান, যশোর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন নাহার ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের কাছে অনুরূপ মোবাইল ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। তাদের কাছে সর্বহারা পার্টির সদস্যদের চিকিৎসা ও মামলার খরচের জন্য চাঁদা চাওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্ব স্ব থানায় জিডি করেছেন। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,‘আমার কাছেও চাঁদা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে মোবাইল ফোনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টিও আমি অবহিত।’ তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তা শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।