আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

মিশিগানে ট্রাম্পের মামলা, দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তুতি বাইডেনের
লোকসমাজ ডেস্ক॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও উত্তাপ কমছে না। খ্যাপাটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট নিয়ে একের পর এক অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এখন তার সময় কাটছে মামলা সংক্রান্ত কাজে। ওদিকে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে কাকে কী দায়িত্ব দেবেন, সেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আছেন। ফক্স নিউজ জানিয়েছে, মিশিগানের ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টে ট্রাম্প মামলায় অভিযোগ করেছেন তার প্রতিনিধিদের ভোট গণনা দেখতে দেয়া হয়নি। স্থানীয় কর্মকর্তারা তাকে বাধা দিয়েছেন বলে দাবি তার। বাইডেন উইলমিংটন, ডেলাওয়্যারে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরেছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ পদে কাকে দায়িত্ব দেবেনে, সেই আলোচনা সারেন তিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী এবং নির্বাচনী প্রচারের উপদেষ্টা রন কেন এই পদে বসতে পারেন। বাইডেন এখন বেশ কৌশলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার না করাটা বিব্রতকর।’ ট্রাম্প যে মিশিগানে মামলা করেছেন, সেখানে টিকতে পারবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সিনিয়র আইনজীবীরা। এই রাজ্যে তিনি ১ লাখ ৪৮ হাজার ভোটে হেরেছেন। খুইয়েছেন ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট। বাইডেন এখন পর্যন্ত ২৯০টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। ট্রাম্প ২১৭টি। ট্রাম্প ৫ ঘণ্টা আগেও ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দুই ব্যক্তিকে কয়েকটি কালো ব্যাগ থেকে কিছু একটা বের করতে দেখা যায়। আবার ডাস্টবিনের মতো জায়গা থেকে ব্যাগে তারা কিছু ভরেন। স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সাইটকে উদ্ধৃত করে ফেইসবুক বলেছে, ‘ভিডিওটি অসম্পূর্ণ। রয়টার্সের প্রতিবেদনেও এটিকে ‘মিথ্যা’ বলা হয়েছে।

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগের ঘোষণা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ চীনা আইন প্রয়োগ করে হংকংয়ের চার আইনপ্রণেতাকে অপসারণ করা হয়। এর প্রতিবাদে গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতারা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার আইনপ্রণেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিন তারা আইনসভার অধিবেশনে যোগ দেননি। বুধবার চীনা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়, যা হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রস্তাবটিতে বলা হয়, আইনপ্রণেতারা যদি হংকংয়ের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন, চীনের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করেন, আঞ্চলিক বিষয়ে হস্তপে করতে বিদেশি শক্তিকে আহ্বান জানান কিংবা অন্য কোনো উপায়ে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেন তাহলে তারা অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, আদালতের অনুমোদন ছাড়াই সরাসরি হংকং সরকার এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবে। চীনা প্রস্তাবিত আইনটিতে হংকং কর্তৃপকে আদালতের শরণাপন্ন না হয়েই আইনপ্রণেতাদের বরখাস্ত করার মতা দেওয়া হয়। এদিনই নতুন এই আইনের অধীনে হংকং কর্তৃপ এর আইনসভার চার বিরোধীদলীয় সদস্যকে বরখাস্ত করে। এ চার আইনপ্রণেতাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বেইজিং। এর প্রতিবাদে হংকং আইনসভার গণতন্ত্রপন্থী বলে পরিচিত বিরোধীদলীয় ১৫ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চার আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অঞ্চলটির স্বাধীনতা খর্বের আরেকটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বহিষ্কৃতদের একজন ডেনিস কোয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া পর্যবেণ, পদ্ধতি ও এর প্রয়োগের সুরা এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করার পরিণতি যদি বহিষ্কার হয়, তাহলে তা আমার জন্য সম্মানের।’ হংকংয়ের ৭০ আসন বিশিষ্ট আইনসভায় ২১ জন বিরোধীদলীয় সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে বরখাস্ত এবং আরও ১৫ জন পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ায় আর মাত্র দুজন আইনসভায় থাকছেন।

বাহরাইনের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ সালমান
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাহরাইনের যুবরাজ শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফাকে বুধবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খালিফা এক রাজকীয় আদেশে এ নিয়োগ দেন বলে জানায় বাহরাইন নিউজ এজেন্সি (বিএনএ)। এর আগে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রিন্স খলিফা বিন সালমান আল খালিফা যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো কিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বিএনএ জানায়, বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খালিফা এক রাজকীয় আদেশে তার ছেলে শেখ সালমানকে মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। পশ্চিমা শিায় শিতি শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফা বিরোধীদের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছেন। ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফা দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এছাড়া বাহরাইনের প্রতিরা বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। এদিকে প্রিন্স খলিফা বিন সালমান আল খালিফার মৃত্যুতে সরকারিভাবে দেশজুড়ে এক সপ্তাহের শোক পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর তার দাফন সম্পন্ন হবে। করোনাভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট ও স্বল্প সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন এ সময় উপস্থিত থাকবেন।