চাকরির প্রলোভনে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক

0

নড়াইল সংবাদদাতা॥ চাকারি প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। প্রতারকের নাম খন্দকার ওবায়দুর চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী (৫০)। তার বাড়ি রাজবাড়িতে। সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে তিনি কখনও ডিজিএফআই কখনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, ডিজিএফআই-এর ভুয়া পরিচয়পত্র, পাঁচটি মোবাইল সেট এবং বিভিন্ন কোম্পানির ১০টি সিম কার্ড পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল সিআইডির কার্যালয়ে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল সিআইডির একটি টিম বুধবার (১১ নভেম্বর) ভোরে রাজবাড়ির কালুখালী থানার রুপসা গ্রাম থেকে প্রতারক খন্দকার ওবায়দুর চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী ও তার মা মরিয়ম বেগমকে (৬৮) গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি, মোবাইল ও ডিজিএফআইয়ের ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, ওবায়দুর দেশের বিভিন্ন জেলায় সাতটি বিয়ে করে সেসব এলাকায় প্রতারণার ফাঁদ তৈরির মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নড়াইলের তিন এলাকার চার জনের কাছ থেকে মোট ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়াসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। মামলার বাদি লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের ভ্যান মেকানিক ফিরোজ মোল্যা জানান, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস অফিসের অফিস সহকারী পদে তার ছেলে মোছা মোল্যার (১৮) চাকরির জন্য জমি বিক্রি ও ঋণ নিয়ে ওবায়দুরকে গত মে ও জুন মাসে দুই কিস্তিতে ৯ লাখ টাকা দেয়।
একই উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের কাউড়িখোলা গ্রামের বেকার যুবক বিল্লু মঙ্গল রায় জানান, পৈত্রিক জমি বিক্রি ও সুদে টাকা ঋণ নিয়ে সেনাবাহিনীর কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির জন্য গত জুলাই ও আগস্টে ওবায়দুরকে ১০ লাখ টাকা দেয়। লোহাগড়া থানার রাজুপুর গ্রামের বেকার তরিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীতে অফিস সহকারী পদে চাকরির জন্য ওবায়দুরকে গত জুন ও জুলাই মাসে চার লাখ টাকা দেয়া হয়। একইভাবে লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ইশানগাতি গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ভাইপো সাজ্জাদ সরদারের চাকরির জন্য গত ১৫ জুলাই ওবায়দুরকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।