‘বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জড়ো করেছে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ মিলেমিশে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জড়ো করে আওয়ামী লীগ। তারা গাজীপুর-সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সন্ত্রাসী এনেছে। সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। তাদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসী নয়, পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে।’ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যা নিকেতন স্কুলের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তার নিজ ভোটকেন্দ্র মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যা নিকেতন স্কুল থেকে সকালে ১০ জন ভোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘পাঁচ নেতাকর্মীকে মারধর করেছে। দুই জন এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
এই কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বেশ কয়েকটি ককটেল সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ভোটাররা ছোটাছুটি শুরু করেন। পুলিশ এগুলো জব্দ করে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মেরে বের করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কোনও কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট ঢুকতে দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী কয়েকটি কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকলেও তাদের গিয়ে পুলিশ ধমক দিচ্ছে। এরপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বের করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘হাবিবুল্লাহ বাহার কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানের এক পুলিশ ইন্সপেক্টর বলেছেন, তারা এখানকার ভোটার নন, এই কারণে তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন আমি বলি, ঢাকা-১৮ আসনের ভোটার হলে তারা যেকোনও কেন্দ্রের এজেন্ট হতে পারবেন। তখন সেই ইন্সপেক্টর বলেছেন, আমাদের কাছে এমন কোনও নির্দেশনা নেই। সেখানে পুলিশের ডিসি নিজে দাঁড়ানো ছিল। এই হলো ভোটের অবস্থা।’ আওয়ামী লীগ প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে ক্যাম্প করেছে দাবি করে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ তো আপনারা আমার চাইতে ভালো জানেন। অতীতে যে অভিযোগগুলো করেছি, আজ তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি না থাকার কারণে ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। আপনি যখন চাকরি করবেন, তখন তো চাকরি রেখে ভোট দিতে আসবেন না। নিয়ম অনুযায়ী ভোটার এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে সবকিছু ফ্রি স্টাইলে চলছে। দখলদাররা দখল করবে বলেই সব প্রক্রিয়া চালু রেখেছে। আজ পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী একাকার হয়ে ভোট দখলের চেষ্টা করছে। ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।’ রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্রের আটটি ইভিএম মেশিনের চারটি নষ্ট ছিল বলে দাবি করে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সেখানকার প্রিজাইডিং অফিসার বলে আমি কী করবো। তিনি আওয়ামী লীগের একজন পোলিং এজেন্ট, আরেক জনের ভোট দিতে পাঠিয়েছেন। তখন এর কারণ জানতে চাইলে সরি বলেন। এই হলো ভোটের অবস্থা। তাহলে কীভাবে ভোট সুষ্ঠু হলো?’