বেনাপোল বন্দরের অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো, ভয়াবহ পণ্যজট

0

আহম্মদ আলী শাহিন, নাভারণ (যশোর ॥ দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো থাকায় মালামাল ওঠানামা ও ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট। বিরাজমান এ সমস্যার সমাধান না হলে যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে দু’দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে বেনাপোল স্থলবন্দরে ফর্কলিফট ও ক্রেন সরবারহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেড বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ভাষ্য, পাঁচ বছরের চুক্তিতে ১৪ বছর ধরে কাজ চলছে এই বন্দরে। কিন্তু বাড়েনি চুক্তি মুল্য। তাছাড়া পরিশোধ করা হয়নি কোম্পানির পাওনা টাকা। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে ২৫ টন ধারণ মতাসম্পন্ন ফর্কলিফট রয়েছে একটি ও ৫ টনের ফর্কলিফট রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে ৪টি দীর্ঘদিন ধরে অচল। ৪০ টন, ৩৫ টন ও ১৯ টনের ক্রেন আছে একটি করে, আর ১০ টনের ক্রেন আছে দু’টি। এসব ক্রেনের মধ্যে ৫টি অধিকাংশ সময় অকেজো থাকে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় ২৫ টনের ফর্কলিফটি অকেজো থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটছে মালামাল লোড-আনলোডে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরের গুদামে জায়গার অভাবে সেখান থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য ঢোকানো হচ্ছে। খালাসের অভাবে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকছে দিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন বা ফর্কলিফট মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সংকটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। ফর্কলিফট ও ক্রেন সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের বেনাপোলের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম জানান, ‘২০০৬ সালে আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্দরের পণ্য ওঠানো ও নামানোর জন্য বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি করে। পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষ আর চুক্তি নবায়ন করেনি। আমাদের কোম্পানির দেনা পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। আমরা অনেকটা বাধ্য হয়ে গত ১৪ বছর ধরে পুরাতন চুক্তিতে বন্দরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম চালানো সম্ভব না। দেনা পাওনা পরিশোধ করা না হলে আমরা বন্দরের কার্যক্রম গুটিয়ে নেব।’ এসব অভিযোগের কথা স্বীকার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, ‘বর্তমানে প্রচুর পরিমান মালামাল আসছে ভারত থেকে। সে জন্য জায়গার কিছুটা সমস্যা হচেছ। তবে বন্দরে ক্রেন ফর্কলিফটের সমস্যা আছে। আইনি জটিলতার কারণে সমস্যাগুলো হচ্ছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান করা হবে।’