যশোর থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র (জেইএসসি) ও জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন (পাটের বৈচিত্রকরণ প্রচার) সেন্টারের যশোর শাখা সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাট চাষের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রসিদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত যশোর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে এ অঞ্চলের মানুষ হতাশ হয়েছেন। তাদের দাবি প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে নেয়া হলে এ অঞ্চলের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ এর সাথে যুক্ত সকল ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার পাট শিল্প বিকাশে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই একটি বড় অংশ হচ্ছে বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র (জেইএসসি) ও জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার। দেশের ৭টি জেলায় এ সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলাগুলো হলো, ঢাকা, চট্রগ্রাম, রংপুর, নরসিংদি, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও যশোর। যশোর শহরের নীল রতন ধর রোডের চার খাম্বার মোড়ে মেহেরুন্নেসা ভিলায় গত ১১ বছর ধরে অফিসটি সুনামের সাথে পরিচালনা হয়ে আসছে।
জানা গেছে, পাটশিল্প উদ্যোক্তা এই সেবা কেন্দ্রে (জেইএসসি) বহুমুখী কার্যক্রম রয়েছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বহুমুখী পাটপণ্য ব্যবহারে উদ্বুব্ধকরণের জন্য জেইএসসি’র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন জেলাসমূহে সচেতনতা কর্মশালা আয়োজন করা। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির ল্েয প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আয়োজন করা। বহুমুখী পাটপণ্যের বাজার সমীা করে সম্প্রসারণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই, বহুমুখী পাটপণ্যের প্রচার প্রসার ও ব্যবহার বৃদ্ধির ল্েয জেইএসসি’র অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন জেলাসমূহে মেলার আয়োজন ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা।
স্থানীয়ভাবে অন্যান্য সংস্থার আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ, ক্রেতা-বিক্রেতা সম্মিলন আয়োজন, নতুন নতুন উদ্যোক্তা শনাক্ত-চিহ্নিতকরণ করা। উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী সময় সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা। নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, প্রশিক্ষণ প্রদান, ব্যাংক লোন প্রাপ্তিতে সহযোগিতা এবং ডিজাইন উন্নয়নে সহায়তা দান। উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার উপকরণ, কাঁচামাল এবং এক্সেসরিজ সরবরাহের ব্যবস্থা করা। এছাড়া অন্যান্য উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার সাহায্য করা। কর্মসূচির আওতায় এসব কার্যক্রমে যশোরের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় শতভাগ সাকসেস হয়েছে। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অফিসটি এ জেলা থেকে সরিয়ে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা নিয়ে এ অঞ্চলের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অফিসটি যশোর থেকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করার জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব নিজেই তদারকি করছেন। গত ৫ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্রও জারি করা হয়েছে।