যশোরে চিকিৎসকের গাড়িচালক কুদ্দুস হত্যায় চার জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম খানের গাড়িচালক আব্দুল কুদ্দুস খান হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী মোছা. শামসুন্নাহার। হত্যাকা-ের দু’দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মামলাটি করেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১-২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে হত্যাকা-ের চারদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি। ওই আসামিরা হচ্ছেন-যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোড বাঁশতলা স-মিলের পাশের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. সেলিম (৩৫), পুরাতন কসবা বিবি (বিধুভূষণ) রোড আমবাগান এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. স¤্রাট (২৬), আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি ওরফে পাইপ শফি (৪০) ও মনিরামপুর উপজেলার গালদা দক্ষিণপাড়ার আকবর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৪১)। যশোর সদর উপজেলার মোমিননগর নওদা গ্রামের বাসিন্দা মোছা. শামসুন্নাহার মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামি সেলিম তার বড় ছেলে ইসরাইল খান বিপ্লবের পূর্ব পরিচিত। আট মাস আগে দুধের ব্যবসা করার কথা বলে বিপ্লবের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা ধার নেন সেলিম। কিন্তু ধারের টাকা পরিশোধ করেননি। টাকা চাইলে সেলিম তার ছেলে ও স্বামীকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। এরপর গত ৩ নভেম্বর দুপুর দুটোর দিকে সেলিম তার স্বামীকে মোবাইল ফোন করেন ধারের টাকা নিয়ে যেতে। এ খবর পেয়ে বেলা ২ টা ২০ মিনিটের দিকে তার স্বামী বাইসাইকেলে করে পুরাতন কসবা ঢাকা রোডের জনৈক ইন্তালের চায়ের দোকানের সামনে যান ধারের টাকা আনতে। পরপরই তিনি ও তার ছেলে বিপ্লব ইজিবাইকে করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ধারের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি স¤্রাট তার স্বামীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। আসামি সেলিম ও শফি এ সময় তার স্বামীকে ধরে রেখেছিলেন। তার স্বামীকে রক্ষা করতে ছেলে বিপ্লব ছুটে গেলে আসামি কামরুল সাথে সাথে তাকে জাপটে ধরেন। আসামি স¤্রাট এ সময় বিপ্লবের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এর পরপরই আসামিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে গুরুতর জখম তার স্বামী ও ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাতটার দিকে তার স্বামী মারা যান।