ওবায়দুল কাদেরের মুখে শুধু বিএনপি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মুখে প্রতিদিন বিএনপির আলোচনা কেন- এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ওনাদের মতে তো বিএনপি রাজনীতিতে নাই। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন। আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়।’ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকদিন কথা বলেন। তিনি অত্যন্ত সুবেশী মানুষ। চমৎকার একটি ঘরে, চমৎকার একটি আসনে বসে তিনি কথা বলেন। আমি শুনেছি তিনি এক সময় নাটক করতেন। তিনি অনেক সুন্দর করে বলেন। তার বক্তব্য একটাই। তার প্রতিপাদ্য একটাই, বিএনপি। বিএনপির এই নাই, ওই নাই এসবই বলতে থাকেন তিনি। ওনাদের মতে তো বিএনপি রাজনীতিতে নাই। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন। আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। আপনার মুখে আলো কেন এতো বিএনপির। কারণ আপনারা জানেন, বিএনপি হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা একমাত্র গণতন্ত্র আনতে পারে, অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে, তারা যে দুঃশাসন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তার অবসান করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখে দিয়েছেন। কারণ তারা জানেন, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে নির্বাচনের আগে যেটা করেছিলেন সেটাও করা সম্ভব ছিল না। গণতান্ত্রিক আন্দোলন যাতে না করতে পারে সেজন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এক লাখ মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করে দিয়েছেন। তারপরও কিন্তু বিএনপি থেকে একটি লোকও টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। বিএনপির এই অবস্থানে পৌঁছাতে তরিকুল ইসলাম সাহেবদের অনেক অবদান আছে।’ গণতান্ত্রিক চেতনা পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ- এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে তারা একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। শুধু মোড়ক আছে গণতন্ত্রের একটা, সেটা সামনে ধরে তারা ক্ষমতায় বসে আছে।’ আজ যে সংকট এটা আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কাদের পারপাস সার্ভ করছে তারা? আজ দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম তিনগুণ চারগুণ বেশি কাদের জন্য? তাদের লুটপাটের জন্য। তারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে, যে সিন্ডিকেট সব লুটে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ছে, কৃষকদের কি আয় বেড়েছে? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা তাদের কি আয় বেড়েছে? এই করোনায় তারা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। বহু মানুষ আজ খেতে পারে না, আপনারা সেই অবস্থা তৈরি করেছেন। এদেশের মানুষকে জিম্মি করেছেন।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ।