যশোরের খড়কিতে কুখ্যাত ডিকু বাহিনী কুপিয়েছে পাইপমিস্ত্রিসহ ৩ জনকে, নারী-পুরুষের বিক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের খড়কি পীরপাড়া এলাকা গতকাল বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ আশ্রিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী ডিকু বাহিনীর হামলায় পাইপমিস্ত্রিসহ ৩ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে সন্ত্রাসীদের জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। অপরদিকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এলাকার শ শ নারী-পুরুষ এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা
খড়কি পীরপাড়ার বাসিন্দা নাহিদুল ইসলামের মেয়ে যুব মহিলালীগ কর্মী শাহানাজ পারভীন জানান, মতিয়ার রহমানের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ডিকু, তার বোন, ভাই ও সহযোগীরা এলাকার নিরীহ মানুষের ওপর নানা অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গত ২ নভেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে ডিকু ও তার সহযোগী আল-আমিন তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সন্ত্রাসীরা তার নাম ধরে গালিগালাজ ও নানা হুমকি ধামকি দেয়। কিন্তু কী কারণে তাকে হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে হুমকির খবর পেয়ে কারণে তিনি সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ডিকু, জিসান, রেহেনা, রুবিনা, রুনা ও নাসিমা তার বাড়িতে এসে ফের তাকে হুমকি ধামকি দেয়। পরদিন গত মঙ্গলবার রাতে ওই সন্ত্রাসীরা ফের তাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার দুদিন পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই ওয়াহিদুজ্জামান খড়কিকে তদন্তে আসেন। পুলিশের সামনেই এ সময় ডিকুর বোন রুনা ও রেহানা তাকে মারধর করে। কিন্তু এসআই ওয়াহিদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ ঘটনার পর বিকেল ৩টার পর তার ভগ্নিপতি ভ্যানচালক আলমকে (৩৪) খড়কি কবরস্থানের পাশে পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। সন্ত্রাসী ডিকু, ভাই জিসান, বোন রেহেনা, রুনা, রুবিনা ও তাদের সহযোগী আল-আমিন তার ওপর চড়াও হয়েছিলো। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খবর পেয়ে তারা ভগ্নিপতি আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পীরপাড়া এলাকার পাইপমিস্ত্রি লিটন (৪৪) ও হেলপার পিকুল (২২) বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে ষষ্ঠীতলায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে ডিকুদের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওই সন্ত্রাসীরা তাদের ধরে কুপিয়ে জখম করে। এদের মধ্যে পিকুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আহত লিটন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে সন্ত্রাসী ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অসংখ্য নারী-পুরুষ এ সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা পুলিশ প্রশাসরের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি জানান। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম ও ইনসপেক্টর (অপারেশনস) শেখ আবু হেনা মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ এ সময় বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষকে সন্ত্রাসীদের আটকে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে পুলিশ জড়িত সন্ত্রাসীদের আটক করতে পারেনি। কোতয়ালি থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, সন্ত্রাসীরা এলাকার ৩ ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে তারা খবর পেয়েছেন। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।