ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে দুর্গত এলাকার শ’ শ’ মানুষের বিক্ষোভ-স্মারকলিপি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভবদহ দুর্গত অঞ্চলের শ’ শ’ মানুষ রোববার দুপুরে যশোর শহরে বিােভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। ভবদহে টিআরএম চালু, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, হরি, শ্রী, টেকা, মুক্তেশ্বরী নদীর সঙ্গে ভৈরবের সংযোগ, ২১ ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগ, নদী ও খালের ওপর সব ধরনের পাটা-বাঁধ অপসারণের দাবিতে তারা অবস্থান করেন। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রোববার বেলা ১২টার দিকে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিলিত হন জলাবদ্ধ এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকশো নারী-পুরুষ। এসময় তারা যশোর কালেক্টরেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় এক ঘন্টা ধরে সেখানে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
অবস্থান চলাকালে সংপ্তি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত তিন মাস ধরে আমাদের অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমস্যা চলছে। এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের তে, মাছের ঘের। পানি উঠে এসেছে ঘর-বাড়িতে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন জেলার ৪০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে এই অঞ্চলের মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। সেেেত্র করোনাকে উপো করেই আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সব ধরনের ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবো। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভবদহের সমস্যা প্রায় ৬০ বছরের। ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা লুটপাট ও বাণিজ্য করে চলেছেন। স্থানীয়রা এর থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থায়ী সমাধান চান। এজন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিকল্পিত জোয়ারাধার প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পানি বের হওয়ার অন্যতম পথ আমডাঙ্গা খালটি ফের খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করার দাবি জানান তারা। এরপর কমিটির একটি প্রতিনিধি দল যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি পেয়ে জেলা প্রশাসক তার কার্যালয় থেকে কালেক্টরেট চত্বরে এসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আশ্বস্ত করেন। তাদের দাবি দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে জানান। সমাবেশে সংগঠনের আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সদস্যসচিব অধ্যাপক চৈতন্য পাল, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, শেখর চন্দ্র বিশ্বাস, ইলিয়াস হোসেন, সুকৃতি রায়, শিরিন সুলতানা সোহেলী, কার্তিক বকশী প্রমুখ।