যশোরে আলোচিত মন্নাত হত্যাকা- অন্যতম আসামি সাবেক স্ত্রী-শাশুড়ি লাপাত্তা, আটক হয়নি ভাগ্নে শামীমও

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে আলোচিত ইসরাফিল হোসেন ওরফে মন্নাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নিহতের সাবেক স্ত্রী সুমি খাতুন ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন বাড়িঘর ছেড়ে লাপাত্তা হয়েছেন। ডিবি পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও তাদের সন্ধান ও আটক করতে পারেনি। তবে তাদের শিগগির আটক করতে পারবেন বলে আশা করছেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে হত্যা মিশনে অংশ নেয়া প্রধান আসামি শাহ আলমের ভাগ্নে শামীমকে এখনো আটক করতে পারেনি ডিবি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন জানান, মন্নাতের সাবেক স্ত্রী সুমি খাতুনের আসল বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। তবে তারা বর্তমানে যশোর শহরের বকচর চৌধুরীপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখানে সুমি খাতুন ও তার মা সুফিয়া খাতুনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকতেন। কিন্তু ২৪ অক্টোবর সকালে কারবালা এলাকা থেকে হত্যার শিকার মন্নাতের লাশ উদ্ধারের পর সুমি খাতুন ও তার মা সুফিয়া খাতুনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বকচরের ওই বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ কারণে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যা মামলার আসামি মা ও মেয়েকে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের শিগগির আটক করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
অপরদিকে মন্নাত হত্যা মিশনে অংশ নেয়া শাহ আলমের ভাগ্নে শামীমকেও এখনো আটক করতে পারেনি ডিবি পুলিশ। ঘটনারদিন শামীম পেছন থেকে ইট দিয়ে মন্নাতের মাথায় আঘাত করেছিলেন। শামীম শহরের ধর্মতলা এলাকার সলেমান হোসেনের ছেলে। ধারনা করা হয়, শামীমের ওই ইটের আঘাতে মন্নাত মারা যান, যদিও গ্যারেজ আল-আমিন এসএস পাইপ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, শামীমকেও আটকের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাবেক স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ অক্টোবর রাতে শহরের কারবালা এলাকায় খুন হন এস্কেভেটর শ্রমিক মন্নাত। যার মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের ছোটভগ্নি শাহ আলম। এই ভগ্নিপতি সাথে সাবেক স্ত্রী সুমি পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো। ডিবি পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত শাহ আলম ছাড়াও গাড়িচালক আল-আমিন, গ্যারেজ আল-আমিন, রিফাত, রায়হান শেখ ও নয়ন হোসেনকে ইতোমধ্যে আটক করেছে। তবে হত্যা মিশনে অংশ নেয়া ভাগ্নে শামীমসহ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নিহতের সাবেক স্ত্রী সুমি খাতুন ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটক করতে পারেনি।