ইফতিখারের প্রথম ‘পাঁচে’ ম্যাচ ও সিরিজ পাকিস্তানের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু মাত্র ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে পাকিস্তানের মাঠে কি পাকিস্তানের পরীক্ষা নেওয়া যায়? ইমামুল হক ও আবিদ আলীর ৬৮ রানের ওপেনিং জুটির পর অধিনায়ক বাবর আজমের ৭৭ রানে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতলো প্রায় ১৫ ওভার আগে। দ্বিতীয় ম্যাচেই ২-০, তার মানে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও পাকিস্তানের পকেটে। একই ভেন্যুতে সোমবার (২ নভেম্বর) তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাট এ ম্যাচেও আলো ছড়ানোর আভাস দিয়েছিল। কিন্তু অফস্পিনার ইফতিখারের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনি ৩৬ রানে। টেলর ফিরে গেলে দায়িত্ব তুলে নেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। ৭০ বলে ৭৫ রান করে উইলিয়ামসও শিকার ইফতিখারের অফস্পিনের। মূলত ইফতিখারের বোলিংই বেশিদূর যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। চার নম্বরে ব্যাট করা টেলরকে নিয়ে শুরু, আটে নামা চিসোরোকে পর পর আউট করে মিডল অর্ডারটা ধসিয়ে দিয়েছেন ইফতিখার। দুই উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার মোহাম্মদ মুসা। ৪৫.১ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট, ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পেয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন ৩০ বছর বয়সী অফস্পিনার। জিম্বাবুয়ে দ্রুত পাকিস্তানের দু’তিনটি উইকেট ফেলতে পারলে ম্যাচটি একটু আকর্ষণীয় হতে পারতো। কিন্তু বোলিংয়ে তেমন কোনও চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি তারা। অফস্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরের বলে ছক্কা মেরে যখন পাকিস্তানকে টানা অষ্টম জয় এনে দিয়েছেন বাবর আজম, ম্যাচের বাকি ১৪.৪ ওভার। বাবর ৭৪ বলে ৭৭ করে অপরাজিত থাকেন, ৭টি চারের সঙ্গে ওয়ানডেতে তার ১৮তম ফিফটি ইনিংসটিতে ছিল দুটি ছক্কাও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে: ৪৫.১ ওভারে ২০৬ (উইলিয়ামস ৭৫, টেলর ৩৬, চারি ২৫, ইফতিখার ৫/৪০, মুসা ২/২১) ও পাকিস্তান: ৩৫.২ ওভারে ২০৮/৪(বাবর ৭৭*, ইমাম ৪৯, হায়দার ২৯, চিসোরো ২/৪৯, রাজা ১/২৩)।