আদালতে স্বীকারোক্তি, স্ত্রী কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামী হত্যা করে খাইরুলকে

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর সদরের বীর নারায়নপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম হত্যা মামলায় আটক স্ত্রী কুলসুম বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কুলসুমের দ্বিতীয় স্বামী আলী আকবার তাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কুলসুম বেগম বাঘারপাড়ার মথুরাপুর গ্রামের মৃত লতিফ সরদরের মেয়ে।
কুলসুম বেগম জানিয়েছে, খাইরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে বুঝতে তার স্বামী মানসিক ভারসম্যহীন। তাদের সংসার জীবনে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। তার বয়স ৭ বছর। খাইরুলের বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাগলামীও বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে খাইরুলকে ছেড়ে ছেলে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যায়। খাইরুল মাঝে মধ্যে ছেলেকে দেখতে আসতো। এর মধ্যে কাউকে কিছু না জানিয়ে আলী আকবরকে বিয়ে করে কুলসুস। কিছু দিন যেতে না যেতে খাইরুল বিষয়টি জানতে পারে। এরপর আলী আকবরের সাথে রাস্তাঘাটে দেখা হলে খাইরুল তাকে গালিগালাজ ও মারতে আসতো। আলী আকবর তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে মারপিট করার পরিকল্পনা করতো। গত ১৫ অক্টোবর আলী আকবরের সাথে খাজুরা বাজারে দেখা হয় খাইরুলের। খাইরুল তাকে গালিগালাজ ও মারপিট করতে যায়। এমরধ্যে আলী আকবর কৌশলে খাইরুলকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে নদীর মধ্যে লাশ ফেলে দেয়। বিষয়টি আলী আকবর তার স্ত্রী কুলসুমকে ফোন করে জানিয়েছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর খাইরুল ইসলাম বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। পরদিন বিকেলে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে খাজুরার চিত্রা নদীতে পাওয়া খাইরুলের লাশ শনাক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই পিকুল হোসেন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে বাঘারপাড় থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী কুলসুম বেগমকে আটক করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করেন। একদিনের রিমান্ড শেষে গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।