চৌগাছায় মা হারা শিশুর প্রতি সহানুভুতি ওসির

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় মা হারা ৫ মাসের শিশু মিমের পাশে সহায়তার হাত বাড়ালেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিফাত খান রাজীব। দুধের কষ্ট নিয়ে স্থানীয় পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওসির নজরে আসে। তিনি শনিবার দুপুরে শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান লস্কারপুর গ্রামে। একই সাথে শিশুটির দুধের নিরাপত্তার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। অফিসার ওসি‘র এমন সহায়তায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিশুর পরিবারসহ স্থানীয়রা।
জানাগেছে, উপজেলার লস্কারপুর গ্রামের কৃষক মকলেছুর রহমানের মেয়ে নাজমা খাতুনের বিয়ে হয় খুলনা জেলায়। বিয়ের পর তিনি সন্তান সম্ভবনা হলে শ^শুর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে আসেন। চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে তিনি ভর্তি হয় চৌগাছার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। পরে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর নাজমা খাতুন চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। ৪ জুন নাজমা খাতুনের মৃত্যু হলে মা হারা হয়ে পড়ে শিশুটি। বর্তমানে লস্কারপুর গ্রামের বৃদ্ধা নানী আর খালা মিনা খাতুনের কাছে বেড়ে উঠছে অসহায় শিশুটি। মায়ের বুকের দুধের পরিবর্তে শিশুটির বাড়তি গরুর দুধের যোগান দিতে পারছিলেন না দরিদ্র পরিবারটি। ফলে দুধের অভাবে শিশুটি কষ্টে বেড়ে উঠতে থাকে।
শিশুটির এমন মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে যশোরের স্থানীয় পত্রিকাতে গত ৩০ অক্টোবর সচিত্র প্রতিবেদন প্রকশিত হলে থানার অফিসার ইনচার্জের নজরে পড়ে। গতকাল শনিবার তিনি শিশুটিকে দেখতে লস্কারপুর গ্রামে ছুটে যান। এ সময় বৃদ্ধা নানী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং শিশুটির সার্বিক খোঁজখবর নেন। পাশাপাশি শিশু মিম যাতে বাড়তি দুধ খেতে পারে সে জন্য তিনি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি শিশুটির আরো সহায়তার আশ^াস দেন পরিবারটিকে। রিফাত খান রাজীব বলেন, পত্রিকার অনলাইনে সংবাদটি পড়ে মনটি ভারাক্রান্ত হলো। তাই শিশুটিকে দেখতে গেছি। অসহায় পরিবারের হাতে সামার্থ অনুযায়ী সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। সামান্য সহায়তায় শিশুটি যদি একটু ভালো থাকে তাহলে আমার ভালো লাগবে।