রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ: লেখনীর মাধ্যমে তরিকুল ইসলামের উন্নয়ন ও অবদানের স্বীকৃতি দিল নতুন প্রজন্ম

0

মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস ॥ সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম একজন অসাধারণ গুণী ও বড় মাপের নেতা ছিলেন। এটা শুধু বড়রা নয়, নতুন প্রজন্মের মানুষও জানে। যা আরও একবার প্রমাণিত হলো তার নামে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতায় কয়েকশ’ তরুণ ছাত্র-ছাত্রী তরিকুল ইসলামের কর্মময় জীবন উন্নয়ন ও অবদানের তথ্যবহুল লেখা উপস্থাপন করে তাঁর মরণোত্তর স্বীকৃতি ও সার্টিফিকেট প্রদান করলো।
জননেতা তরিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘যশোর উন্নয়নে তরিকুল ইসলামের অবদান’ ও ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরিকুল ইসলামের ভূমিকা’ শীর্ষক দুটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ‘ক’-গ্রুপ ছিল ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম এবং ‘খ’ গ্রুপ ছিল ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে। কয়েকশ’ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সকলের লেখাই মানসম্মত ও তথ্যবহুল। বিচারকদের মতে, তরিকুল ইসলাম সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম এতোকিছু জানে তা ভাবতেও পারিনি। প্রতিটি লেখা পড়ে হতবাক ও বিস্মিত হতে হয়েছে। বহু লেখাই ছিল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। তাই, সেরা লেখা বাছাই করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। দুটি গ্রুপের প্রথম পুরস্কার ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ জয় করেছেন ‘ক’-গ্রুপের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না মৌ এবং ‘খ’ গ্রুপে যশোর জিলা স্কুলের ছাত্র আব্দুর রহমান আরশ। এছাড়া ‘ক’ গ্রুপে ২য় ও ৩য় হয়েছে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আশিক সৌরভ শর্ত এবং আজরিন জামান। ‘খ’ গ্রুপে ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে সেক্রেডহাট স্কুলের ছাত্র কারিব আবরার খান ও সরকারি এমএম কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস অনন্যা। পুরস্কার বিরতণ অনুষ্ঠান শুক্রবার বেলা ৩টায় প্রেসকাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। লোকসমাজের সম্পাদক অধ্যাপক নার্গিস বেগম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রধান প্রতিবেদক হারুন জামিল, বিচারক প্যানেল প্রধান উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসন ও সদস্য সহকারী অধ্যাপক ইবাদত খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ল্যাবস্ক্যান মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. এমদাদুল হক, লোকসমাজের নির্বাহী সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিচারক প্যানেলের সদস্যগণ।