মনিরামপুরে জোড়া হত্যাকাণ্ড, বাদলের সেই নারীদের খোঁজ নিচ্ছে ডিবি পুলিশ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের মনিরামপুরে আলোচিত জোড়া হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে এখনো পর্যন্ত নতুন কোনো তথ্য মেলেনি আটক জাহিদ হাসান ওরফে মানিকের কাছ থেকে। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়ে আগের দেয়া তথ্যই বলছেন তিনি। অপরদিকে নিহত বাদলের সাথে কোন কোন নারীর সম্পর্ক ছিলো তাদের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। সেই সাথে হত্যা পরিকল্পনার পেছনে ওই নারীদের কারো কোনো ভূমিকা ছিলো কি-না তাও খতিয়ে দেখছে ডিবি পুলিশ। মনিরামপুরের উত্তরপাড়ার আলোচিত জোড়া হত্যার ঘটনায় আটক বাদলের সহযোগী মানিককে গত বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ডে নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নেওয়ার পর জোড়া হত্যার বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তার কাছ থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ‘নারীঘটিত সম্পর্কের কারণে এই জোড়া হত্যাকা-’ আগের দেয়া এমন তথ্যই বলছেন মানিক। তবে মানিক অত্যন্ত ধুরন্ধর বলে মনে করছে ডিবি পুলিশ। বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে এখনো নতুন কোন তথ্য মেলেনি। সূত্র জানায়, যে সব নারীর সাথে বাদলের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো তাদের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করছে ডিবি পুলিশ। ওই নারীদের পরিচয় জেনে গিয়ে বাদালকে সংশোধন হওয়ার কথা বলেছিলেন আহাদ। আর এ কারণে পরিবারে অশান্তি হবে এই ভয়ে পরিকল্পিতভাবে আহাদকে হত্যার চেষ্টা করেন বাদল। ফলে হত্যা পরিকল্পনার পেছনে ওই নারীদের কোনো ভূমিকা ছিলো কি-না তা খতিয়ে দেখছে ডিবি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, যে সব নারীর সাথে বাদলের সম্পর্ক ছিলো তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বাদল ও আহাদ খুনের পর ভিন্ন পথে উত্তরপাড়া থেকে পালিয়ে বলরামপুরে আসে মানিক। এরপর পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তির রিকশায় চেপে চাউলিয়ার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। ওইদিন রাতেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। যদিও পুলিশ গত বুধবার বিকেলে তাকে আটকের দাবি করছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যারাতে যশোর মনিরামপুরের উত্তরপাড়ার ফাঁকা রাস্তার পাশে বাদল ও আহাদ পরস্পর খুনের শিকার হয়। দুজনের বাড়িই সদরের জয়ন্তা গ্রামে এবং তারা প্রতিবেশী।