মেহেরপুরে সমাজসেবা কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা

0

মেহেরপুর সংবাদদাতা॥ মেহেরপুর শহরের তাঁতিপাড়ায় সমাজসেবা অফিসের কর্মচারী ফারুক হোসেনকে (৩৯) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে শহরের তাঁতিপাড়ায় এবং সদর থানার পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফারুক হোসেন মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী এবং তাঁতিপাড়ার সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নাহিদ (১২) এবং ছোট ছেলে নবাব (৪)। ফারুক ২০০৮ সালে মেহেরপুর সমাজসেবা অধিদফতরের রাঁধুনি হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে বিভাগীয় পরীক্ষা দিয়ে মাঠকর্মী হিসেবে পদোন্নতি পান।
স্থানীয়রা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে থানার পাশে একটি দোকান থেকে মশার কয়েল কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির ঠিক ২০ গজ দূরে কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেছনদিক থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার ঘাড়, পিঠ ও পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা গেছেন। তার শরীরের ঘাড়ে, পিঠে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এতে গভীর ক্ষতের হয়েছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফারুক হোসেনের বড় মামা আলাউদ্দিন জানান, তাকে মেরে ফেলার মতো কোনও বিরোধ কারো সঙ্গে ছিল বলে আমার জানা নেই। মেহেরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আবু আবদুল্লাহ বাপ্পি জানান, খবর পেয়ে ছুটে হাসপাতালে গিয়ে দেখি মারা গেছে। ফারুকের কোনও শত্রু থাকতে পারে বলে জানি না। তবে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, নিহতের বাড়ির ঠিক ২০ গজ দূরে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করতে গিয়ে দেখা যায় পিঠে, ঘাড়ে এবং পায়ে কোপানো হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে এ হত্যার কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী সাংবাদিকদের প্রাথমিক ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনও কারণ বোঝা যাচ্ছে না। রহস্য উদযাঘটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।