বিমানের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে কঠোর হচ্ছে জ্বালানি বিভাগ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিমানের কাছে ২১শ’ কোটি টাকার বকেয়া আদায়ে এবার কঠোর হচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) পাওনা আদায়ে তিন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বৈঠকে বসবেন। জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। এছাড়া বিপিসি চেয়ারম্যান (সরকারের সচিব) এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যানও থাকবেন এই বৈঠকে। বিমান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের তেল বিক্রির টাকা আটকে রেখেছেন বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
বিপিসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিপিসি বিমানের কাছে দুই হাজার ১৩৩ কোটি টাকার পাওনা রয়েছে। তিনি বলেন, বিমানের সঙ্গে বারবার আলোচনায় ব্যর্থ হওয়ার পর আমরা জ্বালানি বিভাগে চিঠি দিয়েছি। এই চিঠির সূত্র ধরে বেসামরিক বিমান চলাচল পর্যটন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তারাও এ বিষয়ে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। বিষয়টি এখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঙ্গত কারণে আমরা এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে পারি না। বিপিসি বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিমান জেট ফুয়েলের বকেয়া বাবদ এই টাকা পাবে। সুদে আসলে এই পাওনার পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে বিপিসির তরফ থেকে জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ বলছে, একই সঙ্গে বিমানবন্দরের জমির ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং জ্বালানি সরবরাহের চুক্তি নবায়ন বিষয়েও আলোচনা হবে। বিপিসির নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, বিমান সাম্প্রতিক সময়ে করোনার কারণে লোকসান দেখালেও তারা গত বছর লাভ করেছে বলে প্রচার করে। বিপুল পরিমাণ বকেয়া রেখে তারা এটি করতে পারে না বলে মনে করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পদ্মা অয়েল বিমানের জেট ফুয়েল সরবরাহ করে। তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০ কোটি টাকার বেশি জেট ফুয়েল কিনে বিমান। তবে বিভিন্ন সময়ে লোকসানের কথা বলে জেট ফুয়েলের দাম বকেয়া রেখেছে বিমান। বিপুল পরিমাণ বকেয়ার জোগান এসেছে দেশীয় ব্যাংক থেকে। ঋণের টাকায় কেনা এই তেলের দাম পরিশোধ না করাতে পদ্মাকে ব্যাংক ঋণের সুদও গুনতে হয়েছে।