যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আরও দুই বন্দি হাসপাতালে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আরও ২ বন্দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ৪ বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ঘটেছে একের পর এক অঘটন। গত ৮ দিনে ৪ বন্দিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শাকিল (১৩) নামে এক বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুকে ব্যথা ও মাথায় আঘাতজনিত সমস্যায় শাকিল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাত ৭টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের চানের পুত্র। পুলিশ আটক করার পর মাথায় আঘাত করলে আহত হয় শাকিল। এরপর থেকে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ১৭ অক্টোবর সকালে সাজেদুল (১৫) নামে এক বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ২য় তলায় বন্দিরা মারামারি করে। এ সময় এক কিশোর সাজেদুল নীলফামারির গাঞ্জবাড়ী হেসারিপাড়া এলাকার লতিফ মিয়ার পুত্র। কি মামলায় পুলিশ তাকে আটক করেছিল তা সে বলতে পারে না। এর আগে ১৬ অক্টোবর রাতে সাবিক (১৭) ও ১১ অক্টোবর রাতে মোর্শেদ (১৮) নামে দু’বন্দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। বন্দি কিশোরদের আগে ওই কেন্দ্রের জিপ কিংবা মাইক্রোতে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ভিন্ন বাহনে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এমনকি, কিশোর উ্ন্নয়ন কেন্দ্রের নাম ও ঠিকানায় ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাদের বাড়ির ঠিকানায় ভর্তি করা হচ্ছে। সাজেদুলকে তার নীলফামারীর ঠিকানায় ভর্তি হয়েছে। যাতে কেউ বুঝতে না পারে সে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি। এসব বন্দিদের প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ভর্তি করায় ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে নানা অঘটন ঘটছে। এর আগে ৩ বন্দি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সুপার মোঃ জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গার ছেলেরা এখানে বন্দি। তারা একজন আরেকজনকে চেনে না। কেন্দ্রে সাড়ে ৩শ’র বেশি বন্দি রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতো জনবল নেই। স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে বন্দিদের শৃঙ্খলার ভেতর রাখা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।