নড়াইলে অপহৃত কলেজছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

0

নড়াইল অফিস ॥ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অপহৃত ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নড়াইল শহরের কুরিগ্রামে চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতান কমপ্লেক্সের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামের বাসিন্দা। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকাল ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে। মেয়েটির পিতা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে যায়। ঘন্টাখানেক পর মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এর পর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে (০১৬০৮-৪৭৬৪৬০) আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক নারী কণ্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কমপ্লেক্সের পাশে আপনার মেয়ে পড়ে আছে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য সে ভ্যানে ওঠে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরার পর তার আর কিছু মনে নেই। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, রবিবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি অজ্ঞাত। কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে আসামিদের চিহিৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।