খরগোশ পালন করে লাভবান হচ্ছেন মনিরামপুরের শওকত

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় স্বল্প খরচে খরগোশ পালন করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন শওকত আলী নামের এক যুবক। মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের মৃত ফজর আলী গাজীর ছেলে শওকত আলী নিজের বসতঘরের একটি কে খরগোশ পালন করছেন। তিন বছর আগে প্রথমে তিনি দুটি খরগোশ কিনে পালন শুরু করেন। প্রতি মাসে একটি খরগোশ চার থেকে পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করে। প্রতি বাচ্চা ২শ টাকা দরে বিক্রি করতে থাকেন তিনি। বর্তমানে তার পাঁচটি মা ও একটি বাবা খরগোশ রয়েছে। মা খরগোশগুলো প্রতি মাসে ২০থেকে ২৫টি বাচ্চা প্রসব করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শওকত আলীর বাড়িতে ইটের তৈরি বসতঘরের একটি রুমে ৬টি খরগোশ রয়েছে। রুমের ভেতর মেঝেতে বড় বড় গর্ত। ওই গর্তের ভেতর বাচ্চা ভর্তি রয়েছে। কথা হয় খরগোশ পালনকারী শওকত আলীর সাথে। তিনি পেশায় একজন পরিবহন শ্রমিক। তিনি প্রথমে শখের বশে খরগোশ পালন শুরু করেন। পরে দেখেন একটি খরগোশ প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচটি করে বাচ্চা দিচ্ছে। তখন এত বাচ্চা না রেখে প্রতিটি বাচ্চা ২শ টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, খরগোশ পালনে বাড়তি কোন খরচ হয় না। বিনা খরচের খাদ্য, কলা গাছের পাতা, শিমুলের পাতা এবং কিছু ডাস্ট পাউরুটি বেকারি থেকে কম মূল্য কিনে তাদের খেতে দেন। সীমিত খরচের খরগোশ পালন করে প্রতি মাসে বাচ্চা বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন বলে তিনি লোকসমাজকে জানিয়েছেন।