নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য দুঃসংবাদ!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেম্বরের ১৩ ও ১৭ তারিখ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হবে তা দেখার জন্য গ্যালারিভর্তি দর্শক থাকতে পারবে না। এটা ফিফার কোনো নির্দেশনা নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনই ম্যাচ দুটি দেখার জন্য গ্যালারিতে প্রবেশের সুযোগ দেবে সীমিত সংখ্যক দর্শককে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধির যে নির্দেশনা আছে সেটা মেনেই ম্যাচ দুটি আয়োজন করবে বাফুফে। সবাই খেলা দেখার সুযোগ না পেলে, সেটা হবে দর্শকদের জন্য বড় দুঃসংবাদই। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘শূন্য গ্যালারির নাকি পূর্ণ গ্যালারির সামনে ম্যাচ হবে তা নিয়ে ফিফার কোনো নিদের্শনা নেই। তাদের নির্দেশনা হলো- সংশ্লিষ্ট দেশ তাদের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে। আমরা এখনো ঠিক করিনি ম্যাচটিতে কত দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। তবে এটা ঠিক-আমরা দর্শকশূন্যও রাখবো না, আবার গ্যালারি পূর্ণও করবো না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত দর্শককে টিকিট দেয়া হবে।’
দুই দেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ম্যাচ দুটি খেলতে। এক-দুই দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে নেপাল কবে ঢাকায় আসবে, কত সদস্যের দল আসবে। বাফুফে এ ম্যাচ দুটি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছে যাতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। কম হলেও ম্যাচের অনন্ত সাতদিন আগে নেপাল দলকে ঢাকায় আসতে হবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। তবে কোয়ারেন্টাইনের সময় নেপাল অনুশীলন করার সুযোগ চেয়েছে। যে কারণে, দুই দলের জন্য দুটি প্রস্তুতি মাঠ থাকবে। ‘আমরা অবশ্যই দুই দলের অনুশীলনের জন্য আলাদা আলাদা ভেন্যু রাখবো’- বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে ঢাকায় আসবেন ২৮ অক্টোবর। তার ৪-৫ দিন আগেই স্থানীয় কোচের অধীনে অনুশীলন শুরু করবেন ফুটবলাররা। মঙ্গলবার ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের মিডিয়া ব্রিফিং করে দলের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনের কথা আছে। ১৩ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলার মাধ্যমে দুই দেশ ২৫ মাস পর আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল দুই দেশের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-০ গোলে। বাংলাদেশ ও নেপাল এ পর্যন্ত ১৯ বার আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ১২ ম্যাচ জিতেছে, হেরেছে ৬ টিতে। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।