দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আবার বেড়েছে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ তিন দিন পর দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা আবার ২০ ছাড়িয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্র ও বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ জন করে, তার আগের এই সংখ্যা ছিল ১৬। গত মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা ছিল ২২। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩০ জুন ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু। নতুন ২৩ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৬৪৬ জন হয়েছে। দেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২০৯ জন। তাদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৬০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২ হাজার ২৯৮ জন হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার বিকালে এক বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১০টি ল্যাবে ১১ হাজার ৫৭৩টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ২০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ৫ জন। তাদের প্রত্যেকেই বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের এবং ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের এবং ২ জন বরিশাল বিভাগের ও দুই জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৬৪৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৩৪৫ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৩০১ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯৬১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও, ১ হাজার ৫০৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭০৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩১৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১২৭ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। মোট মৃতদের মধ্যে ২ হাজার ৮৮৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১১১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৫৫ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৩৯ জন সিলেট বিভাগের, ২৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১১৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।