মনিরামপুরে দুই যুবককে গলা কেটে হত্যা

0

আলমগীর কবীর, রূপদিয়া (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুই যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই দুই যুবকের মধ্যে একজনকে সন্ধ্যায় সেখানে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। অপর যুবক গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কারা কীজন্যে তাদের এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে জোড়া হত্যার ঘটনায় ওই এলাকায় বর্তমানে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে স্থানীয় লোকজন মনিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়ায় রাস্তার পাশের (রূপদিয়া টু ঢাকুরিয়া সড়ক) দুই যুবককে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার জয়ন্তা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে বাদল হোসেন (২৪) ও নিকমল আলীর ছেলে আহাদ আলী (২৫)। এর মধ্যে বাদল হোসেনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আর আহাদ আলী গুরুতর জখম অবস্থায় ছিলো। ঘটনাস্থলে সুজুকি কোম্পানির একটি অনটেস্ট মোটরসাইকেল পড়েছিল। স্থানীয় লোকজন এ সময় গুরুতর জখম আহাদ আলীকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে ভ্যানে করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাত ৭ টার দিকে সদরের চাউলিয়ার গেট নামক স্থানে পৌঁছালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর সেখানেই তার লাশ রেখে দেয়া হয়। সূত্র জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। চাউলিয়ায় যেখানে আহাদ আলীর লাশ রাখা হয় সেখানেও পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা যান। নিহতদের স্বজনেরাও সেখানে ছুটে যান। তবে কারা কীজন্যে এই দুই যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন কোনোকিছু বলতে পারেননি।
মনিরামপুর থানা পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন। কিন্তু কারা কীজন্যে তাদেরকে হত্যা করেছে তা এখনো জানতে পারেননি। তবে তারা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
নিহত বাদল হোসেনের চাচাতোভাই মিলন হোসেন জানান, বাদল ও আহাদ দুজনে এর আগে ডিশ লাইনের কাজ করতেন। বর্তমানে তারা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তিনি বলেন, সকালে বাদল ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সন্ধ্যায় খবর পান যে, উত্তরপাড়া রাস্তার পাশে তার লাশ পড়ে আছে। কিন্তু কারা কীজন্যে তাদের খুন করেছে তা তারা জানেন না।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, হয়ত দুজনের কাছে দুটি মোটরসাইকেল ছিলো। এই মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি দুর্র্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। অপর মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে না পেরে ফেলে গেছে। হয়ত মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।  অপরদিকে পুলিশের বিশেষ শাখা জানায়, বাদল হোসেন জয়ন্তা গ্রামের মুক্তার গাজীর ছেলে ও আহাদ আলী একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তারা সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মনিরামপুর উপজেলার বারপাড়া নামক স্থানে ডিশ লাইনের কাজ করছিলেন। এ সময় কে বা কারা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় বাদল। আর গুরুতর জখম অবস্থায় পড়েছিলেন আহাদ।