স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চান মণিরামপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চেয়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও তার ভাগ্নের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার (১৪ অক্টোবর) যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমা খানম বলেন, আমি জনগণের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে কাজে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার ভাগ্নে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু। এডিবি, টিআর, কাবিখাসহ সব বরাদ্দ তারা তাদের লোকজনের মাধ্যমে বণ্টন করেন। এমনকি করোনাকালে ত্রাণের চাল আত্মসাতের চেষ্টাও করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিনি চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অথচ প্রতিবাদ করায় আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, করা হয়েছে শ্লীলতাহানি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গাছের উন্মুক্ত নিলামেও বাধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও প্রতিমন্ত্রীর পোষ্য বাহিনী। এসময় খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ ও আমার ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলাম নয়নকে নিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থ, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রনেতা সন্দীপ ঘোষ ও ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এছাড়া আমাকেও অপমান অপদস্থ করা হয়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে চিহ্নিত অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করলেও এজাহারটি নথিভুক্ত করা হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে জনমুখী ও কল্যাণকর প্রতিটি উদ্যোগে ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিভিন্ন বাধার সম্মুখিন হয়ে আমার জীবন ওষ্ঠাগত। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে জনস্বার্থে আমি আর কাজ করতে পারছি না। একইসঙ্গে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহত সন্দীপ ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ দাস, মিকাইল হোসেন, কাজী টিটো প্রমুখ।