যশোরে বাসের মধ্যে ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগী নারীর আদালতে জবানবন্দি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে আলোচিত বাসের মধ্যে ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগী সেই নারী মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। পূর্ব পরিচিত মনিরুল ইসলাম মনি তাকে ধর্ষণ করেছে ও অপর দুজন তার শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে বলে তিনি জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টি এম মুসা ওই নারীকে তার ভাইয়ের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (অপারেশনস) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, এর আগে ভুক্তভোগী নারীকে আদালতে পাঠানো হলে তার কোন জিম্মাদার না থাকায় তাকে শেল্টারহোমে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক। গতকাল মঙ্গলবার ফের ওই নারীকে শেল্টারহোম থেকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তিনি আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আদালত তাকে তার এক ভাইয়ের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে ওই নারী আদালতকে জানিয়েছেন, বাসের হেলপার মনিরুল ইসলাম মনি তার পূর্ব পরিচিত। ঘটনার দিন বিকেলে রাজশাহী থেকে বাসে উঠলে রাতে যশোরের মণিহার এলাকায় এসে পৌঁছান। এ সময় তিনি ও তার পূর্ব পরিচিত মনিরুল ইসলাম মনি সেখানকার একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেন। পরে মনিরুল ইসলাম মনি রাতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে বাসের ভেতর নিয়ে যায়। দরজা আটকে দিয়ে বাসের ভেতর এ সময় তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে আরও দুজন এসে ধাক্কাধাক্কি করলে মনিরুল ইসলাম মনি বাসের দরজা খুলে দেন। এ সময় ওই দুই ব্যক্তি বাসের ভেতর ঢুকে তাকে মারধর করেও শ্লীলতাহানি ঘটায়। তবে তিনি এই দুই ব্যক্তিকে চেনেন না।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর রাতে বকচর হুশতলায় এম কে পরিবনের একটি বাসের ভেতর বাঘারপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ওই নারীকে পূর্ব পরিচিত মনিরুল ইসলাম মনি আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে ওই রাতে আরও ৬ শ্রমিক সেখানে গিয়ে তাকে মারধর এবং এর মধ্যে ৩ জন তার শ্লীলতাহানি ঘটান এমন অভিযোগ এনে মামলা করেন ওই নারী। অভিযুক্তদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম মনি গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সময় তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন, তার সাথে পূর্ব পরিচিত ওই নারীর স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক হয়েছিল।